ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে ‘ভাগিয়ে নিয়ে’ বিয়ে, যা বললেন মেয়র
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র এস এম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার খবর কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। সেই বিষয়ে কথা বলতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, তিনি উল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা গুশানারা পারভীন পান্নাকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করেননি। উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমেই বিয়ে করেছেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার আটজন কাউন্সিলর, পৌর আওয়ামী লীগের নয়টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও প্রচারিত সংবাদগুলোকে মিথ্যা ও অসত্য বলে দাবি করে তীব্র নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় মেয়র এস এম নজরুল কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। সেখানে দেখা যায়, তার প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ার সঙ্গে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর তালাকের মাধ্যমে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। অপরদিকে স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন জানিয়ে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই স্বামী রুমান সাইদ রাজনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন গুলশানারা পারভীন পান্না। এরপর ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল অ্যাডভোকেট শামছুল আলমের মাধ্যমে পান্নার গ্রামের বাড়ি উপজেলার বেতুয়া গ্রামে উভয়ের সম্মতিতে রাজনের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্টে তার ও পান্নার পরিবারের যৌথ সিদ্ধান্তে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়েতে পান্নার বাবা গোলাপ হোসেন, মা জাকিয়া সুলতানা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিয়েতে মেয়র নজরুল ইসলামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তারা বাবা মো. চাঁদ আলী সরকার, মা তারা ভানুসহ পৌর শহরের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরা।
ইতিমধ্যে প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে গেছে বলেও জানান মেয়র। এরপরও কেন আমার বিরুদ্ধে চরিত্রহরণসহ নানা নোংরা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, প্রশ্ন করেন তিনি।