এখানে কস্তুরী বিক্রয় করা হয়
দৈনিক সিলেট ডট কম
শরীরে মেখেছি সুগন্ধি
আজ সারাটা শহর ঘুরবো তোমার হাত ধরে
কাজলের কালো যতক্ষন না ভিজবে বৃষ্টির পানিতে
ততক্ষন তাকিয়ে থাকবো মেঘের দিকে
এইসব পরিকল্পনা নিয়েই প্রতিটি আবেগী বেকার
পা রাখে এই ইট-কাঠ আর পাথরের শহরে;
শরীরের লুকানো তৃষ্ণা একপাশে ঠেলে রেখে
রাস্তার পাশের কল থেকে টেনে নেয় জল
এ যাত্রা তবু বাঁচা গেল নগরের আয়োজনে;
অতঃপর হিংসা আর ঘৃণার বাজারে খানিক বেচাকেনা
মানুষ হয়েও মানুষের সাথে যে পাশবিক খেলা
তার কিছু কারুকাজ সে রেখে দেয় পকেটের ভাজে;
হাঁটতে থাকে যুবক আনমনা একা
আচমকা ডাক দেয় ভোরের শেফালি
ক্ষুধা আর তৃষ্ণার কথা ভুলে যাওয়া অসহায় শাবক যেন
একটু আশ্রয় খোঁজে হন্যে হয়ে
এ নগরে পুষ্পের উপর ঝরে পুষ্প
এ নগরে বিষকে ধুয়ে ফেলে অন্য কোন বিষ;
দিন শেষে যেমন রাত্রি নামাই চিরাচরিত
পথ শেষে যেমন গন্তব্য থাকবে এটাই কাম্য
এ শহর এসবের কিছুই মানে না
এখানে বর্ষা শেষে আরও বর্ষা তারপর প্লাবন
এখানে শীতের পরে আরও শীত তারপর শৈত্যপ্রবাহ
তাইতো প্রতিটা নাজুক শরীর এখানে গল্পের আদিম উপকরণ;
প্রজাপতি উড়ে গেছে সেই কবে
বাগান তবু পড়ে আছে নিঃসঙ্গ গাছগুলো নিয়ে
কবে যে কে কাকে শেষবারের মতো ভালোবেসেছিলো
ইতিহাসের পাতা খুঁজেও তার হদিস মেলা ভার;
যুবক তবু হেঁটে চলে গায়ে তার সুগন্ধি মাখা
একখানা সাইন বোর্ড বুকেতে ঝুলানো তার আর তাতে
“এখানে কস্তুরী বিক্রয় করা হয়” কথাটি লেখা।