কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৬
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে নারীসহ পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে তাকে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার একটি কলেজের ছাত্রী। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রিমন হাওলাদার তানভীর নামের এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত মঙ্গলবার তানভীর তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে নাজিরপুর উপজেলায় ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। ওই দিনই মোটরসাইকেলে করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। পথে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের মাঝেরপুল এলাকায় রিপন জমাদ্দার, আফজাল, রাকিবসহ কয়েকজন যুবক তাদের পথ আটকায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর কলেজছাত্রীকে পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
পরে তানভীর, রায়হান ও কলেজছাত্রীকে হোসনেয়ারা বেগম নামের এক স্থানীয়র বাড়িতে তিন দিন ধরে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে আটকে রাখে। এরপর তাদের অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
গতকাল রাতে তানভীরের পরিবার মুক্তিপণের জন্য ৩০ হাজার টাকা রিপন জমাদ্দারদের হাতে তুলে দিতে যায়। ওই সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় কাঁঠালিয়া থানা তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হোসনেয়ারা বেগমসহ আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ওই কলেজছাত্রী, তার প্রেমিক তানভীর ও তার বন্ধু রায়হানকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।