এমসি কলেজের চতুর্থ ছাত্রাবাসে নতুন ছাত্রাধিনায়ক নির্বাচিত

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসের চতুর্থ ব্লকের নতুন ছাত্রাধিনায়ক (প্রিফেক্ট) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. কমর উদ্দিন।

সোমবার রাতে ছাত্রাবাসে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ছাত্রাবাসকে পরিচ্ছন্ন করে তোলার লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

​আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মুরারিচাঁদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম আহমদ খানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আকমল হোসেন এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর মো. গিয়াস উদ্দিন। সভার সভাপতিত্ব করেন চতুর্থ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও ছাত্রাবাসের বিভিন্ন ব্লকের তত্ত্বাবধায়ক, ছাত্রাধিনায়ক এবং সকল শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে, যা করেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রুম্মান আহমদ। এরপর পুরো অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে সঞ্চালনা করেন স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন উজ্জ্বল। কুরআন তিলাওয়াতের পর নবনির্বাচিত ছাত্রাধিনায়ক মো. কমর উদ্দিন তার স্বাগত বক্তব্যে ছাত্রাবাসের উন্নয়নে তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

​সভায় শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তীব্র গরমে অকেজো হয়ে যাওয়া ফ্যান পরিবর্তন, পুরোনো টিন থেকে পানি পড়া এবং টয়লেট সংস্কারের দাবি। একই সাথে, সম্প্রতি পানি সংকট নিরসনে কলেজ কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

​বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আকমল হোসেন বলেন, “আমাদের ছাত্রাবাসের আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের দেওয়া বার্ষিক ফি। এই সীমিত আয়ে সব ধরনের সংস্কার কাজ একসাথে করা কঠিন।” তবে তিনি আশ্বাস দেন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত ফ্যান সংস্কার বা পরিবর্তন করার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করার কথাও জানান। পরিশেষে, তিনি একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ইতিবাচক ভূমিকার ওপর জোর দেন।

​সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এই সভা কেবল একজন নতুন ছাত্রাধিনায়ক নির্বাচনই নয়, বরং ছাত্রাবাসের সার্বিক উন্নয়নের পথে একটি নতুন সূচনা বলে বিবেচনা করছেন চতুর্থ ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন