২০১৬ সালে ছাত্রদল, বিএনপি নেতাকর্মীরা জালালাবাদ থানা এলাকায় বলাউরা বাজারস্থ পয়েন্টে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপি করে রক্তাক্ত জখম ও গাড়ী ভাংচুর এবং বিস্ফোরণের ক্ষতিসাধন করার ঘটনার মামলায় দলটির ০৮ নেতাকর্মীর ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২২ জুুন ২০২৫ ইং তারিখে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-১। ফারুক মিয়া, পিতা মৃত-ছমির আলী, সাং-বলাউরা, থানা-জালালাবাদ, সিলেট, ২। জুনেদ আহমদ জুনায়েদ (২১), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, মাতা-মোছা: সোমা বেগম, সাং-নোয়াগাঁও, নোয়াপাড়া, ঘোপাল, ডাক-টুকেরবাজার, থানা-জালালাবাদ, জেলা-সিলেট, ৩। নুরুল ইসলাম (৩৮), পিতা মৃত-রহমান আলী, সাং-জাঙ্গাইল, ৪। জমির (৪৪) পিতা-শাহজাহান, ৫। মন্নান (২৭), পিতা-রহিম আলী, ৬। আহাদ (২৫), পিতা-মোবারক আলী, ৭। সফিক (৩২), পিতা-মতিউর রহমান, সর্ব সাং-জুগিরগাঁও, ৮। জিয়াউল হক জুবেল, পিতা-মো: আব্দুল গফফার, মাতা-রোশনা বেগম, সাং-কসকালিকা, পো: বলাউরা বাজার, থানা-জালালাবাদ, জেলা-সিলেট।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাসীম আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ছাত্রদল, বিএনপিসহ জালালাবাদ থানা এলাকায় বলাউরা বাজারস্থ পয়েন্টে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপি করে রক্তাক্ত জখম ও গাড়ী ভাংচুর এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। এই মামলার আসামিরা ছাত্রদল, বিএনপির নেতাকর্মী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে ২৫ জুন ছাত্রদল, বিএনপির নেতাকর্মীরা হত্যার উদ্দেশ্যে মারপি করে রক্তাক্ত জখম ও গাড়ী ভাংচুর এবং নাশকতা সৃষ্টি করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানা শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময় ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষী সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
অপরদিকে ২০১৮ সালে বিএনপি নেতা এম এ হকের আগমণ উপলক্ষ্যে সভায় আওয়ামী লীগ বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সংঘর্ষ জড়ায় এঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মীদের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ১। এম.ক নাজিম উদ্দিন (৬২), পিতা-আপ্তাব উদ্দিন, ২। রোমান আহমদ (২৮), পিতা- নাসিমউদ্দিন, উভয় সাং-শিবগঞ্জ, থানা-শাহপরাণ (রহ:), জেলা-সিলেট, ৩। জুনেদ আহমদ জুনায়েদ (২৩), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, মাতা–মোছা: সোমা বেগম, সাং-নোয়াগাঁও, নোয়াপাড়া, ঘোপাল, ডাক-টুকেরবাজার, থানা-জালালাবাদ, জেলা-সিলেট, ৪। আব্দুল হাকিম (২১), পিতা-আব্দুল কাদির, মাতা-শিরি বেগম, সাং-সাতবিল, পো: হাসামপুর, থানা-দক্ষিণ সুরমা, ৫। আলা উদ্দিন (২২), পিতা-আব্দুর রহমান, ৬। নুরুল ইসলাম (২১), পিতা মৃত-রহমান আলী, সাং-জাঙ্গাইল, উভয় থানা-জালালাবাদ, ৭। জমির (২১) পিতা-শাহজাহান, সাং-হাসামপুর, থানা-দক্ষিণ সুরমা, ৮। মন্নান (২৭), পিতা-রহিম আলী, ৯। আহাদ (২১), পিতা-মোবারক আলী, সাং-গহরপুর, থানা-বালাগঞ্জ, ১০। সফিক (৩২), পিতা-মতিউর রহমান, সাং-আটভিলা, থানা-জালালাবাদ, জেলা-সিলেট।
