তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাহিরপুর বাদাঘাট সড়ক। সড়কটি এলজিইডি কতৃক নির্মিত। সড়কের দুই পাশে সাড়ি বদ্ধ ভাবে লাগানো ছিল বিভিন্ন ধরনের গাছ। এ সড়কের দুই পাশ থেকে রাতের আঁধারে ৪৮টি (মেহগনি, লাটিম, রেইনট্রি)গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে,তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি নির্মাণের পর গাছ লাগালো হয়। গাছের বয়স দুই যুগ হবে। গাছ গুলো পথচারীদের ছায়া দেয়ার পাশাপাশি সড়কটি সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দিয়েছিল। গাছ গুলো কেটে নেয়ার কারনে সড়কের সৌন্দর্য শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও হাওরের ডেউয়ের আঘাত থেকে গাছ গুলো সড়কের মাটিকে সুরিক্ষত রেখেছিল। এই বছরেই নয় গত কয়েক বছর ধরেই গাছ কাটছে দুর্বৃত্তরা। আর এভাবে গাছ কাটা অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যে সড়কের সব গাছ কেটে সাবার হয়ে যাবে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বেড়েছে এবছর গাছ কাটার পরিমান।

এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ জন বলছেন, যারা গাছ কেটেছে তাদের খোঁজ নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে না হলে যে গাছ গুলো আছে সেগুলো আর থাকবে না। কারন প্রতি বছরেই কাটা হচ্ছে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না আর কারা কেটে নিচ্ছে তা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। একারনে যারা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা আরও সাহস পাচ্ছে।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী বলেন,সড়কের গাছ গুলো কারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে,সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া চেষ্টা করছি।

তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন,গাছ কাটা দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা জরুরি আর আমাদের পক্ষ থেকে দুর্বৃত্তদের খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা চলছে।

গাছ কেটে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক। তিনি জানান,এই বিষয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন