"চার পরিবারে চার টিউবওয়েল"
ধর্মপাশায় নওয়াগাঁও গ্রামে ৪টি টিউবওয়েল স্থাপনে অনিয়ম

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামে ৪টি টিউবওয়েল স্থাপনের অনিয়মের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২০জুন) দুপুরে ৫নং সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নওয়াগাও গ্রামের বাসিন্দা মো: টিটন মিয়া ও শামীম আহমেদ ওই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খুদেজা আক্তারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায়ের বরাবর এই লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ৫নং সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নওয়াগাও গ্রামের ৩০টি পরিবারের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির একটি টিউবওয়েলও (গভীর নলকূপ) নাই। সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খুদেজা আক্তারকে গ্রামবাসীরা বার বার এই সমস্যার কথা বললেও তিনি কোনো কর্ণপাত না করে এড়িয়ে যায়। উক্ত খুদেজা আক্তার যেখানে বাস করেন, সেখানে তিনটি ঘর নিয়ে একটি পাড়া। বর্তমানে ওই পাড়ায় চারটি ঘর। যেখানে পূর্বে ২টি চাপকল স্থাপন করা হয়েছিলো। এর মধ্যে একটি নষ্ট ও একটি ভাল। এতত সত্ত্বেও গত সংপ্তাহে জামানত বিহীন দুইটি সাবমার্সিবল টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে আর ও ২টি কল স্থাপন করা হচ্ছে। মোট তিন বা চার ঘরের পারায় যেখানে আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোন বাড়িঘর নাই সেখানে কি করে চারটি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয় এনিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান চাওয়া হয়।

মো: টিটন মিয়া ও শামীম আহমেদ বলেন, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খুদেজা আক্তার নওয়াগাঁও গ্রামে ৪টি টিউবওয়েল স্থাপনের অনিয়ম করায় আমরা জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এর সমাধানের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে আমরা তার বিরুদ্ধে ইউএনও’র স্যারের কাছে এই লিখিত অভিযোগ করেছি।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড সদস্য খুদেজা আক্তারের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগের ২টি চাপ কলের মধ্যে নজরুলের বাড়ির কলটি নষ্ট আর সাহেদ আলীর বাড়ির কলটি ভাল আছে। এখন নতুন ২টি সাবমার্সিবল কলের মধ্যে একটি তার নিজ বাড়ীতে অন্যটি জামালের বাড়ীতে বসানো হয়েছে। মোট ৪টি পরিবারের ৪টি টিউবওয়েল স্থাপনের কথা সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায় বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি এবং তা সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে নির্দেশ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন