বিয়ের পর স্বাধীন থাকার নারী ও পুরুষের জন্য ৭টি পরামর্শ

নিজের পরিচয় ভুলবেন না
বিয়ের পর দায়িত্ব বাড়লেও নিজের শখ–আগ্রহ বা লক্ষ্য ভুলে যাবেন না। গান শোনা, লেখালেখি, নতুন কিছু শেখা বা কর্মজীবনের পরিকল্পনা—যা আপনাকে আনন্দ দেয়, সেসব চালিয়ে যান।

একান্ত সময় রাখুন
প্রতিদিন বা অন্তত সপ্তাহে এক দিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, সিনেমা দেখা বা বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা—এসব আপনাকে সতেজ রাখবে। মনে রাখবেন, একটু দূরত্বও সম্পর্কে নতুন উদ্যম আনে।

আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা
বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে আর্থিক চাপ থাকেই। তাই বাজেট, সঞ্চয় ও খরচে দুজনেরই অংশগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রত্যেকের একটি করে ব্যক্তিগত সঞ্চয় থাকা ভালো। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকে, আবার একে অপরের ওপর চাপও কমে।

খোলামেলা যোগাযোগ
কোনো বিষয়ে অস্বস্তি লাগলে বা একান্তে সময় চাইলে সঙ্গীকে বলুন। ‘না’ বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন—তবে সম্মান রেখে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যদি খোলাখুলি কথা বলেন, তাহলে সীমা নির্ধারণ সহজ হয়।

নতুন কিছু শিখুন
বিয়ে মানেই শেখার ইতি নয়। বরং নতুন কোনো দক্ষতা, কোর্স বা শখ নিয়ে কাজ শুরু করুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, সম্পর্কও একঘেয়ে লাগবে না।

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা
নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার আর পর্যাপ্ত ঘুম—এসব শুধু আপনাকে নয়, সম্পর্ককেও টিকিয়ে রাখে। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা হলে কাছের বন্ধু কিংবা মনোবিদের সঙ্গে কথা বলুন।

বিশ্বাস ও সহমর্মিতা
স্বাধীনতা মানে একে অপরের প্রতি উদাসীনতা নয়। বরং পারস্পরিক সম্মান ও বিশ্বাস যত মজবুত হবে, স্বাধীনতার জায়গাটাও ততটা সুরক্ষিত হবে।

নারীর জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ
পরিবার বা সমাজের চাপ থাকলেও নিজের ক্যারিয়ার বা শখ ছেড়ে দেবেন না। গৃহস্থালির সব দায়িত্ব একা কাঁধে নেবেন না, কাজ ভাগাভাগি করুন। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। এতে মানসিক সমর্থন পাওয়া সহজ হয়।

পুরুষের জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ
শুধু অর্থ উপার্জনকেই নিজের পরিচয় মনে করবেন না। পরিবার ও গৃহস্থালির কাজে অংশ নিন।নিজের অনুভূতি প্রকাশে দ্বিধা করবেন না। প্রয়োজনে বন্ধু বা কোনো মেন্টরের সহায়তা নিন। স্ত্রীকে তাঁর মতো স্বাধীন হতে দিন। এতে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।

শেষ কথা
বিয়ে মানে সবকিছু হারিয়ে ফেলা নয়। বরং দায়িত্বের পাশাপাশি নিজের সত্তাকে ধরে রাখাই দাম্পত্যকে সমৃদ্ধ করে। স্বাধীন থেকে সম্পর্ক গড়ে তুললে দুজনের জীবনই আরও পরিপূর্ণ হয়। সূত্র: ম্যারেজ ডটকম

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন