মায়ানমারে পাচারকালে ওষুধসহ তিন পাচারকারী আটক

কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত রাখা প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ওষুধ জব্দ করেছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি।

অভিযানে পাচারের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া পাচার কাজে ব্যবহৃত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি মিনি কাভার্ড ভ্যান ও একটি সিএনজি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।

ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহজাহান মনিরের নির্দেশনায় সাব-ইন্সপেক্টর মাসুম ফরহাদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করেন।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতারপাড়া এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে।

আটককৃতরা হলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটা নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ (২৪), ঢাকা জেলার ধামরাই থানার জাদবপুর ইউনিয়নের ভাত বুড়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে তারিকুল ইসলাম (৪৩), নোয়াখালীর কবিরহাট থানার সুন্দলপুর ইউনিয়নের সুন্দলপুর গ্রামের মৃত অহিদুল্লাহ ছেলে মোহাম্মদ রিয়াদ উল্লাহ (২৩)।

জানা গেছে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ চোরাচালানের উদ্দেশ্যে মিনি কাভার্ড ভ্যানে রাখা হয়েছিল। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অসংলগ্ন উত্তর দেয় এবং পরে স্বীকার করে যে, তারা সীমান্ত পার করে মায়ানমারে ওষুধ পাচার করে থাকে।

জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ৫৪,২০০ পিস এন্টাসিট প্লাস ট্যাবলেট ৬,০০০ পিস ইমোটিল (Imotil) ট্যাবলেট, ৬,০০০ পিস অ্যামব্রক্স এসআর (Ambrox SR) ট্যাবলেট, ২৫০ পিস ভোলিন্যাক জেল (Volinac Gel), বিভিন্ন সিরাপ, ইনজেকশন, ভেটেরিনারি ও সাধারণ ওষুধসহ আরো অনেক ওষুধ

শাহজাহান মনির বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা ওষুধসহ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। তিনজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ হোসাইন বলেন, ‘শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে ওষুধ পাচার রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।সীমান্তবর্তী এলাকায় শুল্ক ফাঁকি ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরো কয়েকজন পলাতক পাচারকারী রয়েছে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন