সুনামগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

সুনামগঞ্জে তিন দফা দাবি আদায়ে সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এর ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। সোমবার(০৪ আগষ্ট) সকাল থেকে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে না। আর করতেও দেয়া হচ্ছে না শ্রমিকরা।

এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসা যাত্রীগন।

রবিবার (০৩ আগষ্ট) রাত ৮ টা থেকে সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এর ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। এতে করে সুনামগঞ্জ সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (০৪ আগষ্ট) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ নতুন বাসষ্ঠান্ড এলাকায় শ্রমিকরা গাড়ি আটক দিচ্ছে,কোনো গাড়ি শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রীগন।

দিকে পরিবহন ধর্মঘট এর সমাধানের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এর দায়িত্বশীলদের সাথে আজ দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়ে আলোচনা বসেছে জেলা প্রশাসক ডাঃ ইলিয়াস মিয়া।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের তিন দফা দাবিগুলো হলো, যারা গাড়ি ভাঙচুর করে ও মারধর করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, একজন বাস চালককে পাঁচ মাস ধরে জেলে আছে,তার জামিন দিতে হবে। এছাড়াও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আনোয়ারের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা তার শরীরের হাড় ভেঙে দিয়েছে, এই মামলার আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের বাসিন্দা নাজিম মিয়া সিলেট যাবার জনয় সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এসে আটকা পড়েছেন। তিনি বলেন,কোনো কিছু হলেই পরিবহণ শ্রমিককরা সড়ক অবরোধ করে ধর্মঘট ডাক দেয় আর আমাদের কে হয়রানি করে। তাদের কাছে আমরা যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। প্রশাসন ও মনে হয় জিম্মি। তাদের ত অন্য পথে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারতো।

সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান,পরিবহন মালিক শ্রমিক ও এর সাথে জড়িতরা নিজের মত করেই সড়ক অবরোধ করে ধর্মঘট ডাকে তারা যে অনিয়ম করে তার জন্য কেউ ত সড়ক অবরোধ ধর্মঘটের ডাক দেয়া। তাহলে সাধারণ জনগন কেন পরিবহন শ্রমিক মালিকের কারনে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গতকাল রবিবারও দুই ঘটনা সড়ক অবরোধ করে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে সর্বস্তরের জনগণকে।

সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক বলেন, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, হেল্পারদেরকে মারধর করা হয়। যারা গাড়ি ভাঙচুর করে ও মারধর করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের একজন বাস চালককে পাঁচ মাস ধরে জেলে আছে, আমরা বারবার জামিন চাইলেও জামিন দেয়া হচ্ছে না। আমরা তার জামিনের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আনোয়ারের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা তার শরীরের হাড় ভেঙে দিয়েছে, এই মামলার আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন