পাহাড়, হাওর ও চা-বাগান বেষ্টিত এলাকা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তাপমাত্রা কম থাকলেও সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ১১ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল।
এদিকে, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও হাওর, পাহাড় ও চা-বাগান এলাকায় বসবাসরত মানুষের খুব বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।
বিশেষ করে চা-বাগানগুলোয় শীত বেশি থাকায় কাজ করতে চা-শ্রমিকদের বেগ পোহাতে হয়।
ফিনলে কম্পানির লাখাইছড়া চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা তপন বৈদ্য বলেন, চা-বাগানের শ্রমজীবী নারী-পুরুষরা শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় ও কম্বলের অভাবে খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন। প্রশাসনের কেউ আমাদের খোঁজখবর রাখে না।
ভাড়াউড়া চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা দুলাল হাজরা বলেন, সন্ধ্যাবেলা চা-বাগানে প্রচণ্ড শীত পড়ে।
আমাদের অনেক কষ্ট করে থাকতে হয়। সবার ঘরে চাহিদামতো গরম কাপড় নেই। এখন পর্যন্ত চা-বাগানে শীতের কাপড় শীতবস্ত্র কেউ দেয়নি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, বেসরকারি উদ্যোগে চা-বাগান এলাকায় শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
