জৈন্তাপুরে পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস কার্যক্রমে সেরা শিক্ষার্থীদের সম্মাননা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (SEIP)’ স্কিমের আওতায় সিলেটের জৈন্তাপুরে আয়োজিত হয়েছে এক গৌরবময় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের ভিত্তিতে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন একাডেমিক সুপারভাইজার আজিজুল হক খোকন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-সেসিপ) জনাব কাওছার আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অভিজিৎ কুমার পাল।
একাডেমিক পর্যায়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হরিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজির আলী সরকার এবং তৈয়ব আলী কলেজের অধ্যাপক রোহীনি রঞ্জন দাসসহ উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আহবাব হোসেন (খরিল নিজামুল উলুম মাদ্রাসা, চাকতা), এবং গীতা পাঠ করেন শিক্ষার্থী গীতা রাণী।
শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মামুনুর রশীদ বেলাল ও জালাল উদ্দিন। বক্তারা শিক্ষার্থীদের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই পুরস্কার শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতা, অধ্যবসায় এবং উচ্চতর সাফল্যের প্রেরণা জোগাবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার মোট ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে শ্রেষ্ঠ পারফরমার হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- আবুল হাসান, আরিফ বিন নুরুল, আহবাব, শিফা, মাহদিয়া, ফারহানা, হাজিরা, শাহরিয়ার, শরিফ, জান্নাতুল, সুমি, মাহফুজ, তাহমিদুর, সাদিয়া, শারমিন, লিমা জাকিয়া, মুবাশশিরা, মাহমুদুল, সেলিনা, সুমা, শাহাদাত, প্রান্ত দে, বিজয়, জুলফা, ফারজানা, সালমান, এহসান, মাশরুফা, জয়া রাণী, তাহের, আসমা ও হালিম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পারফরমেন্স মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি প্রদান শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্থানীয় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের সম্মাননা আয়োজন শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে।