অদৈত্ব জন্মধাম কেন্দ্রীয় কমিটির গঠন নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি, কমিটি গঠন স্থগিত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অদৈত্ব জন্মধাম (পনতীর্থ) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির গঠনের লক্ষ্য সাধারণ সভায় দুই পক্ষে মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির গঠনা ঘটেছে। এ কারনে কমিটি স্থগিত করা হয়েছে এবং পরিবর্তিতে তারিখ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি-রাজারগাও গ্রামে অদৈত্ব জন্মধাম মন্দির এলাকার ভিতরে ঘটেছে।
অদৈত্ব জন্মধাম মন্দির এলাকা দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টাখানেক হাতাহাতির পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সভায় অদৈত্ব জন্মধাম (পনতীর্থ) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অদৈত্ব রায়ের পরিচালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ কল্যান ফ্রন্ট এর আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অশোক রায়। এছাড়াও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য ফ্রন্ট্র, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্ধ ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের গনমান্য ব্যক্তিগন বক্তব্য রাখেন।
সভায় উপস্থিত লোকজন জানান,সিলেট মহানগর আহবায়ক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যান ফন্ট্র এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফন্ট্র এর সদস্য সমিরন পুরকায়স্থ তার বক্তব্যে বলেন,গত ১৬ -১৭ টি বছর চলে গেছে এই হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের টাকা গুলো কোথায় গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিগত সরকার কে ছিল, ক্ষমতায় ছিল আওয়ামীলীগ সরকার, তার কি করেছে। এ সময় বহিরাগত দুষ্কৃতিকারী পূর্ব পরিকল্পিত সংঙ্ঘবদ্ধ একই দলভুক্ত হয়ে মধুসূদন রায়, কানন বন্ধু রায়, জয়ন্ত রায়, টিটু রায়, লিটন রায়, কৌশিক রায়, জয় রায়, মিটু রায়, কিরন রায়, সুভাষ রায়, নারায়ন চক্রবর্তী, দিলিপ বর্মন, সুষেন দাসসহ অনেকেই বাকবিতন্ডা শুরু করে এক প্রর্যায়ে পক্ষে বিপক্ষে সভা স্থলে থাকা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
এরপর কয়েক ঘটনা আলোচনা করেও কমিটি গঠন নিয়ে কোনো সমাধান হয় নি। পরে কমিটি গঠন স্থগিত করে,পরিবর্তে সভার তারিখ ঘোষণা করে সভায় শেষে করা হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ কল্যান ফ্রন্ট এর আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অশোক রায় জানান,সভায় মন্দিরে সবাই বসে ছিলেন। সভা চলা সময় কেউ কেউ ফ্যাসিস কথা সরাসরি না বলে গুরিয়ে বলতে পারে না অনেকেই সরাসরি বলে ফেলে। অনেকে অতিথি সরকারের কাছ থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তা বলার সাথে সাথেই হইহলুল শুরু হয়। যা কোনো ভাবেই কাম্য ছিল না।
বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই হাফিজুর রহমান জানান,আমরা হইহট্টগোল ও বাকবিতন্ডা শুনে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অদৈত্ব জন্মধাম কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান,যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তারা মন্দিরের ভাল চায় না,হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাল চায় না,তারা ভাল মানুষ না। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তারা বিভিন্ন দপ্তরে মনগড়া ও স্বাক্ষর জাল করে অভিযোগ দিয়ে যা এই জেলায় বিরল ঘটনা। এই অভিযোগ গুলোর কারনে সকল দপ্তরের দায়িত্বশীলগন বিভ্রান্ত হচ্ছে। আপনারাও এই শৃঙ্খলা বিনষ্ট কারীদের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন। এই মন্দির কোনো ব্যবসা ও রাজনীতি করার জায়গা না,এখানে ধর্মপালন করার যায়গা। আমরা সাধারণ সভা করতে পারে নি নানান জামেলা কমিটি হয়নি,পরিবর্তিতে তারিখ জানানো হবে।
সবাই ঐক্য বদ্ধ ভাবে মন্দির উন্নয়ন করবো আর ধর্মপালন করবো এটাই সবাই কাছে কাম্য।