সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে একজন ব্রাদারকে মারধর করার ঘটনায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল এর কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স এর উপর কতিপয় উগ্রবাদী, দুষ্কৃতিকারী ও দাঙ্গাবাজ কতৃক ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ,অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দালাল নির্মূলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তাগন বলেন, রোগীর সুস্থতার জন্য আমাদের আন্তরিকতার প্রয়োজন। এভাবে হামলা করলে ভেতর থেকে আন্তরিকতা আসবে না। অন্যায়কে যদি প্রশ্রয় দেওয়া হয় তাহলে সেটি বাড়তে থাকে। প্রথম দিনই যদি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হত তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না। তবে আমাদের উপর হামলার পরেও দালালদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অন্য কোনো সরকারি অফিসের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার উপর হামলা হলে আপনারা কী চুপ থাকতেন। হাসপাতালের দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. এনামুল হক খান, মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জহরলাল দাস শিপলু, মেডিকেল টেকনিশিয়ান (ডায়ালাইসিস) জুবায়ের হোসেন প্রমুখ।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বিষ্ণু প্রসাদ চন্দ জানান, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নিলে এমন ঘটনা আর আগামীতে ঘটবে না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি উপস্থিতে দালালদের উৎপাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর একটি তালিকাও দেয়া হয়েছিলো,কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দালালরা স্থানীয় আর দালালচক্র খুবই শক্তিশালী। আশা করবো প্রশাসন দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
