চা বাগান প্রকৃতির বিশাল সম্পদের সুরক্ষা সবার দায়িত্ব: সাংবাদিক সালেহ উদ্দিন
চা শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের এর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনটিসির পরিচালক সালেহ উদ্দিন।
৭ই নভেম্বর লস্করপুর ভ্যালীতে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন এলাকার ২৩টি চা বাগানের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন, চা বাগান শুধু দেশের অর্থনীতির নয়, এটি প্রকৃতিরও এক বিশাল সম্পদ। তাই এর সংরক্ষণ, আধুনিকায়ন ও শ্রমিকদের কল্যাণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। চা বাগান শুধু অর্থনীতির নয়, এটি প্রকৃতির এক বিশাল সম্পদ উল্লেখ করে এনটিসির পরিচালক ও দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক সালেহ উদ্দিন বলেছেন, চা বাগান রক্ষা করা শুধু মালিকদের দায়িত্ব নয়, শ্রমিক, প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণেরও দায়িত্ব। প্রকৃতির এই সম্পদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও সংরক্ষণ করতে হবে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডি লস্করপুর ভ্যালীর ২৩টি চা বাগানের শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সালেহ উদ্দিন বলেন, চা বাগানের পরিবেশ, উৎপাদন ও শ্রমিকদের কল্যাণ -এই তিনটি বিষয় পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি চা শ্রমিক এই শিল্পের মেরুদণ্ড। তাদের পরিশ্রম ও আন্তরিকতা ছাড়া এ শিল্প টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের তিনি বলেন, চা শ্রমিকরা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির অমূল্য অংশ। তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা মানেই দেশের উন্নয়নকে টেকসই করা। পিকেএসএফ সবসময় চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এনটিসির ম্যানেজার মো. সেলিমুর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, চা- শ্রমিক নেতা নৃপেন পাল, লস্করপুর ভ্যালীর বিভিন্ন চা বাগানের ম্যানেজার ও শ্রমিক ইউনিয়নের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভায় সালেহ উদ্দিন জানান, বাগানের ২০০ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়েও অবদান রাখতে পারেন। তিনি আরও বলেন, চা বাগানের উৎপাদন বৃদ্ধি, পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিকদের আবাসন উন্নয়নের লক্ষ্যে এনটিসি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সভায় চা শ্রমিক নেত্রী খাইরুন বলেন, ২০০ শ বছর ধরে আমরা এই বাগানে বসবাস করছি। তবুও আজও আমাদের ভূমির অধিকার নেই। যখন একথাটা ভাবি, তখন কলিজায় লাগে। কেন আমাদের ভূমি অধিকার নেই? আমরা আমাদের ভূমির অধিকার চাই। সভা শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও শ্রমিকদের ভূমি ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।








