কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৭, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ উজানান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি ও টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় সিলেট জেলার ৮টি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। তবে কানাইঘাট উপজেলায় এখনও বন্যা দেখা না দিলেও টানা বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা এবং সুরমা নদী সহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় আউশ ধান ও বীজ তলার বেশকিছু ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও নি¤œাঞ্চল এলাকায় বসবাসরত লোকজন খাবার পানি ও চলাচলে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সরকারী ভাবে সিলেট জেলার ৮টি উপজেলায় নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধ ও বিতরন করা হলেও কানাইঘাট উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় কবলিত নিম্নাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের জন্য এখনও কোন ধরনের বরাদ্ধ দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরোকায়স্থ বলেছেন, বন্যা বলতে যা বুঝায় তা এখনও কানাইঘাটে হয়নি। উপজেলার নি¤œাঞ্চল এলকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে জুন মাসের শেষ দিকে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বন্যার্তদের মধ্যে ৯ টন চাল বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। বন্যা দেখা দিলে তা বিতরণ করা হবে। এদিকে কানাইঘাট দিঘীর পার পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল জানিয়েছেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁর ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখানে বসবাসরত মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছেন। সরকারী ভাবে তিনি ত্রাণ সামগ্রী প্রেরনের দাবী জানিয়েছেন। অনুরুপ ভাবে কানাইঘাট ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম,৫নং বড়চতুল ইউপির চেয়ারম্যান মাওঃ আবুল হোসেন চতুলী, সাতবাঁক ইউপির চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ জানান, তাঁদের স্বস্ব ইউপির অনেক এলাকা টানা বৃষ্টিপাত ও সৃষ্ট বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা সরকারী ভাবে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরনের দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিলেটের অন্যান্য উপজেলায় বন্যা দেখা দিলেও কানাইঘাট উপজেলা এখনও বন্যায় আক্রান্ত হয়নি। হাওর ও নি¤œাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেলেও তেমন ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়নি। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আগাম মোকাবেলা করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনেরে প্রস্তূতি রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।