বিজিবি ল্যান্স নায়েক সুমনের মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০১৭, ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
আজিজুল ইসলাম সজিব:সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজিবির নায়েক শেখ আব্দুল ওয়াহেদ বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় শুক্রবার গভীর রাতে এ মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়েছেন। এদিকে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন রাতে বিজিবির সেই টহল দলের তিন সদস্যকে দহগ্রাম ক্যাম্প থেকে ক্লোজড করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন ঈদুল ফিতরের রাতে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক সদর উপজেলার পইল আটঘরিয়া গ্রামের সুমন মিয়াসহ ৪ সদস্যের একটি টহল দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালানের খবর পেয়ে তিস্তা নদীর আবুলের চরে গিয়ে অবস্থান নেন। গরু দেখতে পেয়ে আটকের চেষ্টা করতে নদীতে নামের ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া। তাকে বাঁচাতে তিস্তায় নামার পর বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া নিখোঁজ হন। ২৮ জুন ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে ভারতীয় তিস্তাপস্তি এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তার মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এরপর গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে বিজিবির নায়েক শেখ আব্দুল ওয়াহেদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর বিজিবির হাতে আটক থাকা লালমনিরহাটের দহগ্রাম ইউনিয়নের ৭ ব্যক্তির মধ্যে ৪ জনকে শুক্রবার গভীর রাতে পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের কাতিপাড়া এলাকার আয়নাল হকের ছেলে সাইবালী মিয়া, আব্দুর রশিদের ছেলে আবু তালেব, মৃত দুরজন আলীর ছেলে সোনা মিয়া ও মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ কবির বলেন, ‘হত্যা মামলায় বিজিবির কাছে আটক থাকা ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার লালমনিরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ৭ জুলাই মধ্যরাতে ১৭ জনের নামে বিজিবি একটি হত্যা মামলা করেছে। সেই মামলায় পুলিশের কাছে বিজিবির সোপর্দ করা দহগ্রামের ৪ ব্যক্তিকে লালমনিরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।