ইস্তাম্বুলের হারেম নগরীর কিছু কথা
দৈনিক সিলেট ডট কম
মোহাম্মদ ইলিয়াস আলী: হারেম শব্দ এসেছে আরবী হা রা মিম হারাম থেকে যার অর্থ অবৈধ বা নিষিদ্ব কাজ ।এখানে আমরা তুরস্কের ইস্তাম্বুলের টপকাপির রাজপ্রসাদের হারেম কে জানবো ।এই হারেম হলো অন্তপুর বা আন্দর মহল ।অন্য কথায় বলা যায় নিষিদ্ব নগরী ।উসমানিয় সাম্রাজ্যের সুলতান বা সম্রাটদের রাজকীয় বাসস্তান ছিল টপকাপি প্রসাদ ।সেখানে কয়েক শত কক্ষ ছিল ।জন সাধারনের প্রবেশাধিকার নিষেধ ছিল ।আইন ছিল ভীষন কঠিন ,আর সেই সব কক্ষের নাম হলো হারেম । উসমানিয় সাম্রাজ্যের যে সুলতান ক্ষমতায় থাকতেন তখন তার মা থাকতেন হারেম এর প্রধান ।তার নিদেশে পরিচালিত হত হারেম এর সকল কাজকর্ম ।তখনকার উসমানিয় সম্রাটরা একাধিক বিয়ে করতেন এটা ছিল তাদের নেশা ।আর সেই হিসেবে তাদের সন্তান সন্তানাদি ছিল অনেক অনেক ।হারেম এর প্রবশের কিছু নিয়ম কানুন ছিল,সুলতান, প্রিন্স ,রাজকুমারী,রানীরা ও তাদের নিকট আত্বীয় ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারতেন না ।সম্রাটের পুত্র সন্তাদের বয়স ১২ বছর না হওয়ার আগ পর্যন্ত হারেম এর বাহিরে যাওয়ার অনুমতি ছিলনা ।আর কন্যা সন্তানের বিয়ের আগ পর্যন্ত কেউ বের হতে পারতেন না । শুধু তাই নয় সম্রাটের রানীরা ও একজন আরক জনের সাথে দেখা সাক্ষাত করার অনুমতি ছিল না ।এ ছাড়া এখানের রাজকুমারীদের খৎনা করানো হত। এই হারেম এর কক্ষসংখ্যা প্রায় ৪০০ শত ।নারীদের সংখ্যা ছিল ৩০০ হতে ৯০০ শতাধিক ।
আজকাল এ হারেম কে অনেকে ভূল ব্যাখ্যা করে থাকেন তাদের ভাষায় এটা ছিল পতিতালয় ।আসলে তাদের কথা ঠিক নয় ।পৃথিবীতে একাধিক হেরাম ছিল তা শুধু মুসলমান রাজা বাদশার শাসন ছাড়া আমরা অনেক দেশে হেরাম এর সন্ধান পাই । চীন দেশের বেইজিং শহরে বিখ্যাত হেরেম ছিল নাম forbidden সিটি ।মিং রাজবংশ থেকে শুরু করে চিং রাজবংশের শেষ পর্যন্ প্রায় ৫০০শত বছর ছিল ।যা বর্তমানে প্রসাদ জাদুঘর । এই হেরেম এর ঘরের বা কক্ষ সংখ্যা ৯৯৯ ।
আর ইস্তানবুল হেরামে কদর বেড়ে গেল ১৬ শত শতাব্দির দিকে তখন সেখানে বিশাল একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হল নাম করণ হল ইম্পে্রিয়াল সোফা । হেরামে মাঝে মধ্যে রাজকীয় জলসা হত ।