কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে যে শিক্ষা নেয়া জরুরি
দৈনিক সিলেট ডট কম
শেখ আদনান ফাহাদ: কোটা সংস্কার আন্দোলন কি নগরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের মত ছিল? নাকি অনেক সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সাগরে জন্ম নেয়া ঘূর্ণিঝড়? হুঁশ হারিয়ে সরকারের ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা হারানো লোকজনের কাছে আন্দোলন অযৌক্তিক, হঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত কালবৈশাখী শীলাবৃষ্টি। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাছে, দেশের লাখ লাখ বেকার ছেলে-মেয়ের কাছে, সংখ্যায় কম হলেও রাষ্ট্রের শুভাকাঙ্ক্ষী কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের কাছে এই আন্দোলন ছিল যৌক্তিক। শান্তিপূর্ণ পথেই এ আন্দোলন সাফল্য লাভ করবে এমন একটা বিশ্বাস ছিল সবার। কিন্তু আমলাতন্ত্র আর রাজনীতির দুষ্ট সিন্ডিকেট সে আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ পথে সফল হতে দেয়নি।
স্বার্থান্বেষী দুষ্টচক্র রাজপথের খবর রাজদরবারে পৌঁছাতে দেয়নি সময়মত। যার ফলে কালবিলম্ব হয়েছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অনেক দুর্ঘটনার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত কোটা বাতিলের ঘোষণা দিলে ছাত্র-তুফান বন্ধ হয়। কিন্তু ছাত্ররা কিংবা আমরা কেউই বাতিল চাইনি। আমরা চেয়েছি সংস্কার। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সন্তানদের জন্য যৌক্তিক কোটা সুবিধা থাকুক, এটা আমরা সকলেই চেয়েছি।
তবে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতিনদের জন্য কোটা সুবিধা বাতিল করা হউক, এটা আমি এবং অনেকে সচেতনভাবে চেয়েছে। কারণ কোটা সুবিধা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এতদিনে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার কথা। আমার আব্বা যেমন একজন সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মত শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আমার আব্বা মরহুম অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ আবু হামেদ মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিতে রাজি হোন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি রাষ্ট্রের কোনো সুযোগ সুবিধা নিবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকার বাইরে যারা প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমার আব্বা একজন। আমরা ৬ ভাই, তিন বোন। কোটা সুবিধা আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় নিতে পারতাম, কিন্তু নিইনি। মেধার ভিত্তিতে যে সাবজেক্ট পেয়েছিলাম সেটিই নিয়েছিলাম। অন্যদিকে আমার অন্যান্য ভাই-বোনেরা কোটা সুবিধা নেয়ার সময় ও সুযোগই পাননি। যদিও আমাদের ভাতিজা-ভাতিজি, ভাগ্না-ভাগ্নিদের কেউ কেউ স্কুলে ভর্তি হতে এই সুবিধা নিয়েছে।
অনেক কঠিন প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে এদেশের তরুণ সমাজ। আমরা জানি, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিল। এছাড়া ২ লাখ মা-বোনের উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসররা। সে ৩০ লাখ শহীদ পরিবার এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনদের পরিবারের সবাই কি কোনো কোটা সুবিধা বা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন আমাদের সামনে রেখেছে এই ছেলে-মেয়েগুলো। কোনো উত্তর আমরা দিতে পারিনি। আরও প্রশ্ন করেছে, সরকার কেন রাজাকারের তালিকা তৈরি করছে না। কেন বড় বড় সচিবগণ পর্যন্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে সনদ হাতিয়ে নিয়েছেন? হাজার হাজার অসৎ মানুষ দু নম্বরি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ হাতিয়ে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাকে কলুষিত করেছে। এসব কথার কোনো জবাব আমরা দিতে পারিনি।
অনেক কষ্ট হলেও আব্বা, আম্মা আমাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। আমরা অর্থের বিত্তে না থাকলেও, সমাজে সম্মান পাচ্ছি ভালো। আমার মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সন্তানের জন্য কোনো ধরনের কোটা সুবিধা দরকার নেই। আমার সন্তানের জন্য যদি কোটা লাগে তাহলে গ্রামের, চরাঞ্চলের, পাহাড়ের, শহরের বস্তীর গরীব মানুষ, কৃষক, শ্রমিকের সন্তান বা নাতি-পুতির কী হবে? কোটা সুবিধা তো তাঁদের দরকার, যারা প্রকৃত অর্থেই দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। বাঙালি হয়েছে বলে এদেশের গরীব কৃষক, শ্রমিকের কোনো কোটা নেই। কিন্তু শুধু নৃতাত্ত্বিক কারণে চাকমা রাজার ছেলে, নাতি-পুতিও কোটা পায়, অথচ আমার দেশের গরীব হিন্দু, মুসলমান চরের দূরদেশে অনাদরে, অবহেলায় বসবাস করে মৃত্যুর প্রহর গুনে! শিক্ষিত নারীর জন্যও নারী কোটা মানহানিকর বলে দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মনে করে।
তাছাড়া কোটায় দীর্ঘদিন থেকে শত শত পদ খালি পড়ে থাকছে। এসব কারণেই দেশের শিক্ষার্থী সমাজ বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ এবং শিক্ষক সমিতিসমূহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি তাঁদের সমর্থন দিয়েছেন। আকবর আলী খান, সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবালদের মত দেশবরেণ্য মানুষও এই কোটা সংস্কার দাবির প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এরপরেও সরকার অনেক সময় নিয়েছে শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনায় নিতে। দেশে এত সংবাদমাধ্যম, গোয়েন্দা সংস্থা আর সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করার সরকারি লোকজন থাকতে ছাত্র সমাজের এতদিনের আন্দোলন শান্ত হতে এত সময় কেন লাগল, এত ধ্বংসযজ্ঞ কেন হল, সেটি নিয়ে নিশ্চয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন বা নিবেন।
নির্বাচনের বছরে এত বড় একটি সংকট নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। এই আন্দোলন এবং প্রাসঙ্গিক সংকটসমূহ থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে অনেক কিছু। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় শিক্ষা নিতে হবে এদেশের রাজনীতিবিদদের। সংকটের সময় দেশের রাজনীতিবিদদের প্রায় সবাইকেই যে দেশের মানুষ, বিশেষ করে সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ বিশ্বাস করে না তার প্রমাণ এই কোটা সংস্কার আন্দোলনের শেষ পর্ব। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর সাথে মিটিং করার পরও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার অপেক্ষায় থেকেছে। বারবার বলেছে, একমাত্র শেখ হাসিনার মুখ নিঃসৃত ঘোষণা আসলেই আন্দোলন বন্ধ হবে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। কেন শেখ হাসিনাকেই সবাই বিশ্বাস করে আর অন্যদের করে না, এর কারণ আমরা জানলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রকাশ্যে বলব না। রাজনীতিবিদগণ নিজেদের ভালো চাইলে নিজেরাই কারণগুলো খুঁজে বের করতে পারেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে এই সংকটে অনেকে মিস করেছেন বলে ফেসবুকে লিখেছেন। কেন মানুষ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামদের মত রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে সেটিও রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে। রাজনীতিবিদদের কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে। আচরণে এবং কর্মে সৎ হতে হবে। অন্তরে যা বিশ্বাস করেন, তাই মুখে বলতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা ও সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
দেশের আমলাতন্ত্র এই আন্দোলন থেকে নিজেদের বিশুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া জোরদার করতে পারেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন, কোটার শূন্য পদে মেধা থেকে যোগ্যদের এনে পূরণ করা হবে। আন্দোলন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সে সময়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়, যেখানে বলা হয়- মেধা নয়, কোটার শূন্য পদ কোটা থেকেই পূরণ করা হবে! এই সার্কুলার জারির পরই ছাত্রসমাজ আবার রাজপথে নামে। আমলাতন্ত্রকে বুঝতে হবে, দেশের প্রধান নির্বাহী কী চাইছেন, কীভাবে চাইছেন? প্রধানমন্ত্রীর একটি পাবলিক ঘোষণার পরে সেই মন্ত্রণালয় থেকে কীভাবে একটি উল্টো সার্কুলার আসতে পারে? আমলাতন্ত্র কোনোভাবেই রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী বা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তথা রাষ্ট্রকে সংকটে ফেলে দিতে পারে না। জাতীয় সংসদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রীসভাসহ প্রতিটি জায়গা থেকে এমন আমলাদের উপর নজরদারি হওয়া জরুরী।
দেশের সাংবাদিকদেরও এই কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখার আছে অনেক। মহাসড়ক অবরোধের আগে বহুবার লাখ লাখ শিক্ষার্থী রাজপথে শান্তিপূর্ণ ও সৃজনশীল উপায়ে নিজেদের দাবির কথা জানিয়েছে। কিন্তু দেশের অনেক সংবাদমাধ্যম সে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের যথাযথ কাভারেজ দেয়নি। যদিও তাদের কাভারেজের জন্য অপেক্ষা করেনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ফেসবুক ব্যবহার করে ক্রমশ নিজেদের পক্ষে দেশব্যাপী জনমত তৈরি করেছে। সে জনমতে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী এক আন্দোলনের। নিজেদেরকে গণমাধ্যম বলে দাবি করলেও এসব সংবাদমাধ্যম এত বড় একটি গণআন্দোলনে কেন মনোযোগ দিল না, সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত এদেশের সাংবাদিক সমাজের।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো থেকেই এই সংস্কার আন্দোলন দানা বেঁধেছে। শিক্ষার্থীরা এখানে শিক্ষকদের ছাড়িয়ে গেছে। সমাজ সচেতনতার দিক থেকে, সমাজের বৃহত্তর মানুষের অধিকার বিষয়ে আওয়াজ তোলার প্রশ্নে শিক্ষার্থী সমাজ তাদের স্যার-ম্যাডামদের তুলনায় যে অনেক বেশি আপোষহীন এবং সাহসী, সেটি এই আন্দোলনে প্রমাণিত হয়েছে। শিক্ষকরা বরং নিজেদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক স্বার্থে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে ভয় পান বা ইচ্ছে করে চুপ করে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নীতি-নির্ধারকদের সামনে আরও একটি বড় প্রশ্ন হাজির করেছে। সেটি সরকারি চাকুরীর প্রতি ছেলে-মেয়েদের বেপরোয়া আগ্রহের বিষয়টি। একটা সময় ছিল, যখন ছেলে-মেয়েরা বিসিএস দেয়ার জন্য এতটা আগ্রহী ছিল না। কারণ সে সময় এত ঘন ঘন বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হত না। তাছাড়া বেতন-ভাতাও এখনকার মত আকর্ষণীয় ছিল না। বর্তমান সরকার সরকারি চাকুরীতে বেতন ১২৩ গুণ বৃদ্ধি করে সময়ের প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করেছে। পাশাপাশি দেশের বেসরকারি খাতের চাকুরিদাতারা ইচ্ছে করে হোক আর অনিচ্ছাবশত হোক, তাল মেলাচ্ছেন না। একটি মধ্যম মানের ছেলে/মেয়ে বিসিএস দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে ভালো বেতনের পাশাপাশি সরকারি নানা সুবিধা ও ক্ষমতা উপভোগ করছেন। খুব মেধাবী একটি ছেলে/মেয়ে সাংবাদিকতায় এসে শুরুতে বেতন পাচ্ছে ১৫/১৬ হাজার টাকা। আজকাল একটি গাড়ির ড্রাইভার রাখলেও ১৮/২০ হাজার টাকা দিতে হয়। একে তো বেতন কম, তার উপর কখন চাকুরি চলে যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কোনো দরকার ছাড়াই সরকার অনেক টেলিভিশন চ্যনেলের অনুমতি দিয়েছে। আর অনলাইন তো কত আছে সেটা সরকার নিজেও জানে না। মেধাবী ছেলে/মেয়েরা মিডিয়াতে শুরুতেই কেন ভালো বেতন পাবে না, কেন দরকারি ভাতা পাবে না, এ বিষয়টি রাষ্ট্রকে না দেখার ভান করে চললে হবে না।
অন্যান্য প্রাইভেট সেক্টরে বেতন-ভাতা ভালো হলেও ছেলে-মেয়েরা দেখছে তাদের পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটদের মত ‘ক্ষমতা’ নেই। দেশের আমলাতন্ত্র এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে যে, দু একটি পেশার মানুষ ছাড়া সাধারণ মানুষ বলি আর সরকারের কাছে বলি, অন্য কারো সম্মান খুব একটা হেফাজত থাকে না। তাই নাট্যতত্ত্ব, মেডিক্যাল, বুয়েটে, সাংবাদিকতায় পড়ে মেধাবী ছেলেমেয়েরা পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে সমাজে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, কৃষক, উদ্যোক্তার দাম নেই সেই সমাজ ঘন ঘন সংকটে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।
লেখকঃ সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়