খালেদা জিয়ার বাম হাত-বাম পা প্রায় অবশ হয়ে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘কারগারে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। আজ স্বজনরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তারা এসে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বাম হাত ও বাম পায়ে আগে যে ব্যথা ছিল, তা আরও বেড়েছে। প্রায় অবশ হয়ে যাচ্ছে।’ সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। কিন্তু তিনি কোনও কর্ণপাত করছে না। কোন হীনমন্যতা কারণে তার চিকিৎসা দিচ্ছে না, আমরা জানি না।’
খালেদা জিয়া কারাগারে সুচিকিৎসা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাকে আমরা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি করেছি। আমরা আবারও বলছি, তাকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক।’
খালেদা জিয়া গত একসপ্তাহ ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অনতি বিলম্বে তার সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘দশদিন পর আজ খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। এ ধরনের জাতীয় নেতার চিকিৎসায় সরকারের অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী? কেন তারা তার সুচিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না। সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। তার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকে দায় নিতে হবে।’
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান চিকিৎসক নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আজ সন্ধা ৭টা ১৫ মিনিটে দেখা করে আমাকে ম্যাডামের স্বাস্থ্যের কথা জানিয়েছেন। ম্যাডাম গত ৭ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিন রাতে জ্বর আসছে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। ডান চোখ অনেক লাল হয়ে গেছে, ফুলে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘাড়ের ব্যথা বাম হাতের তালু পর্যন্ত নেমে এসেছে। হাত দিয়ে শক্ত কিছু ধরলে ঝিন ঝিন করে। কোমরের পেইন পায়ে নেমে এসেছে। কারও হেল্প ছাড়া তার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড সম্ভব নয়। ’
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার দুজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক সিরাজুল উদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল কুদ্দুস বক্তব্য দেন। তারা চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।