নিজের ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের আগে থামান: ফখরুল

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: সরকারকে সবার আগে নিজের ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২১ মে, সোমবার রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে অবস্থিত পুষ্পদাম রেস্টুরেন্টে ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এই আহ্বান জানান।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে নতুন অভিযান শুরু হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। ভালো কথা। আমরা অবশ্যই মাদক দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হোক তা চাই। তবে আগে ঘরের ব্যবসায়ীদের ধরুন। আপনাদের এমপি আব্দুর রহমান বদিই সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ী। অথচ তাকে ছেড়ে দিয়েছেন।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘অপরাধীদের বিচার হতে হবে। বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না। এর আগে জঙ্গি নির্মূল করতে গিয়ে আপনারা ভিন্ন মতকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। বিনা বিচারে নিরাপরাধীদের হত্যা করে জঙ্গি বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো তদন্তই করা হয়নি।’
মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযানেও সে রকম নিরপরাধ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন চলবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ এমন সময় ইফতার করছি, যখন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্জন কারাগারে বাস করছেন। এই জুলুমবাজ, বেআইনি, অবৈধ সরকার সম্পূর্ণ গায়ের জোরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকি আছে এবং তাকে স্থায়ী করার জন্য খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া সবসময় গণতন্ত্রের সংকটে সামনে এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন। কখনো তিনি নির্বাচনে পরাজিত হননি। সে জনপ্রিয় নেত্রীকে এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার জনগণ থেকে দূরে রাখতে কারাগার রেখেছে। আজ আমাদের মন ভারাক্রান্ত।’
দেশ আজ মহা সংকটে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এত বড় সংকটে আর পতিত হয়নি দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদদলিত করে একদলীয় সরকার কায়েমের জন্য অন্যায়-অত্যাচার দিয়ে সমস্ত বিরোধী শক্তিকে দমন করছে সরকার। এই দানবকে সরাতে হবে। তার জন্য দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আমাদেরকে। আল্লাহ আমাদেরকে মুক্তি দিক এই ভয়াবহ দানব ও নির্যাতনকারী থেকে।’
খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ইফতারে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আহমেদ আব্দুল কাদের, জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিয়া গোলাম পরোয়ার, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় পার্টি (জাফর) আহসান হাবিব লিঙ্কন, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ইসলামী ঐক্যজোট (একাংশ) চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সভাপতি মুফতী মুহম্মদ ওয়াক্কাস, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লেবার পার্টি (অপরাংশ) চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।