অধ্যক্ষ হুসনে আরা আহমেদ আর নেই
দৈনিক সিলেট ডট কম
সিলেটের নারী শিক্ষার অগ্রদূত অধ্যক্ষ হুসন আরা আহমেদ আর নেই।
১৫ জুলাই রবিবার দিবাগত রাত ১:৪০ মিনিটে নিউইয়কের লং আইল্যান্ডে নিজের সন্তানদের এবং আত্মীয়স্বজন পরিবেষ্টিত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি …রাজেউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯৪ বছর। তিনি ২ ছেলে, ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
অধ্যক্ষ হুসন আরা আহমদ একজন অগ্রনী বিদূষী নারী-ব্যাক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে যাঁর অবদান সুবিদিত। সিলেটের নারী শিক্ষার প্রসারে ও উন্নয়নে তাঁর ব্রত শুরু হয়েছিলো ১৯৫০ সালের দিকে। তাঁর নেতৃত্বে সিলেট মহিলা কলেজ ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করে।
দীর্ঘ ৩২ বছর তিনি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠের অগ্রগমণে তাঁর মেধা, শ্রম ও স্বপ্ন বিনিয়োগ করেছেন, যার ফলে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ এই অঞ্চল তথা সমগ্র নারী-প্রগতিতে ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে।
বিদ্যায়তনিক শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নরের পাশাপাশি নীতিবোধ ও মুল্যবোধের উৎকর্ষ সাধনে তাঁর অবদান অনন্য। পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশক জুড়ে সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন সামাজিক -সাংগঠনিক উদ্যোগের আয়োজন ও নেতৃত্ব প্রদানে তিনি রেখেছেন বলিষ্ঠ ভুমিকা।
উল্লেখ্য মরহুমার স্বামী মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনোৎসর্গকারী শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমদ। সমাজ ও মানুষের সেবায় তাঁরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করেছেন আজীবন।
অধ্যক্ষ হুসনে আরার ছেলে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন স্থানীয় সময় ১৬ জুলাই সোমবার এশার নামাজের পর মরহুমার নামাজে জানাজা জামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্টিত হবে। তাঁকে নিউইয়র্কেই সমাহিত করা হবে।
অধ্যক্ষ হুসনেআরা আহমেদের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশ বিদেশের অসংখ্যজন তাৎক্ষনিক শোক জানিয়েছেন। অনেকেই তাদের শোকবার্তায় বলেছেন, রত্নগর্ভা হুসনে আরা আহমেদ নিজেই শুধু দেশের কাজে নিবেদিত ছিলেননা। স্বামী হারিয়েছেন দেশের মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর সন্তানদেরও দেশ ও দশের কাজে নিজেদের উৎসর্গ করার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।