৬ বাংলাদেশীকেও স্মরণ করা হলো গভীর শ্রদ্ধায়
দৈনিক সিলেট ডট কম
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি:৯/১১ এ সন্ত্রাসী হামলার ১৭ বছর পূর্তি হলো ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটির ডাউন টাউনে ন্যাশনাল সেপ্টেম্বর একাদশ মেমরিয়্যাল এ্যান্ড মিউজিয়ামের নিকটে তথা গ্রাউন্ড জিরোতে স্মরণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সীর শীর্ষ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। ট্যুইন টাওয়ারে নিহতদের নাম উচ্চারণ পর্বে সকলেই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। নিহতদের স্বজনেরা ছিলেন সেখানে। এ উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা-ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয় সিটিতে। একইসাথে পেনসিলভেনিয়া, পেন্টাগণে ধসে যাওয়া স্থলেও শোক-সমাবেশ হয়। পেনসিলভেনিয়ায় বক্তব্য রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের কাছে আমেরিকা কখনোই মাথানত করবে না। এ সময় পাশে ছিলেন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ট্যুইন টাওয়ার ধ্বংস হবার সাথে সাথে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশীসহ মোট ২৯৭৮ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। নিহত বাংলাদেশীরা হলেন মুক্তাগাছার নূরল হক মিয়া এবং তার স্ত্রী মৌলভীবাজারের শাকিলা ইয়াসমীন, সুনামগঞ্জের সাব্বির আহমেদ, কুমিল্লার মো. শাহজাহান, সিলেটের সালাহউদ্দিন চৌধুরী এবং নোয়াখালীর আবুল কে চৌধুরী।
এই বাংলাদেশীসহ ভয়ংকর সেই সন্ত্রাসী হামলার ভিকটিমদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণের পর মোমবাতি প্রজ্বলন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায়। বহুজাতিক এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘ওয়াল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর প্রেসিডেন্ট শাহ শহীদুল হক সাঈদের সভাপতিত্বে সন্ত্রাসের নিন্দা, প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বক্তব্য রাখেন হোস্ট সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার শরীফ আহমেদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সেক্রেটারি রেজাউল বারি, মহিলা সম্পাদিকা সবিতা দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উইলি নন্দী। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর গীতা থেকে পাঠ করা হয়। দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ইমাম কাজী কায়্যুমের নেতৃত্বে। মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে আরো অংশ নেন বাবলী হক, বিনা বর্মণ, ডা. নার্গিস রহমান, শাহনাজ বেগম, তামান্না হাসিনা, রওশন আরা বেগম, আফরোজা জাহান, চামেলি গমেজ