লিডিং ইউনিভার্সিটিতে গণহত্যা দিবস পালন

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডটকম: লিডিং ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
গনহত্যা দিবস পালন করেছে সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি।
২৫ মার্চ ১৯৭১ এর গনহত্যা দিবস উপলক্ষে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী-০১ এ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ বনমালী ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ২৫ মার্চের গণহত্যায় শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকেই পাকিস্তান সরকার বুঝতে পেরেছিল বাঙালীদেরকে আর দমিয়ে রাখা যাবেনা। আর সেখান থেকেই নীল নকশায় আলোচনার কথা বলে কালক্ষেপন করেন তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। আদেশ আসে ২৫ মার্চের গণহত্যার। একাত্তোরের এই দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপারেশন সার্চলাইট অনুযায়ী বাঙালি নিধনে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তিনি এ দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করে আন্তর্জাতিকভাবে এর স্বীকৃতি পাবার দাবি জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চেতনার উৎস উল্লেখ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বনমালী ভৌমিক বলেন, ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগনিষ্ঠতা অর্জন করার পরও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণ করে এবং বিভিন্নভাবে বাঙালি জাতিকে অত্যাচার করে এবং ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তান সামরিক জান্তা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হয়ে গেলেও এ বর্বর হত্যাকা-ের বিচার হয়নাই। দীর্ঘ নয় মাস বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ পাকিস্তান সেনাবাহিনী করেছে তা ছিল সুস্পষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধ। তিনি আশা প্রকাশ করেন বর্তমান সরকার অচিরেই এই গনহত্যার বিচার করবেন। তখনই হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনার যথার্থ বাস্তবায়ন।
আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এম. রকিব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক সামস-উল আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো: রাশেদুল ইসলাম। ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানফাত জাবিন হকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো: শাহ আলম, পিএসসি। আলোচনা শেষে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মো: ফজলে এলাহি মামুন।
উক্ত আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।