চিকনাগুল গরুর হাট দখল নিয়ে উত্তেজনা

দৈনিক সিলেট ডট কম
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের চিকনাগুল বাজারের গরুরহাট দখল নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করে স্থানীয় একটি (কুচক্রী) মহল ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে খাস কালেকশন উত্তোলন অব্যাহত রাখছেন। এ নিয়ে দু‘টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
গত (২১ এপ্রিল) রোববার হাটের দিন থাকায় স্থানীয় একটি (কুচক্রী) মহল ক্ষমতাসীন দলের একাংশের নাম ভাঙ্গিয়ে বাজার দখল নিয়ে খাস কালেকশন উত্তোলন করতে থাকে। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গরুরহাটের সীটের কাগজপত্রে দেখা যায় ইজারাদার ,চিকনাগুল বাজার ,জৈন্তাপুর সিলেট এই নামে রশিদ ব্যবহার করে ক্রেতাদের নিকট থেকে খাস কালেকশন করা হচ্ছে। ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাজার দিন খাস কালেকশন অব্যাহত ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম জানান, প্রশাসন খাস কালেকশন আদায় করতে চিকনাগুল বাজার কোন পক্ষ কে ইজারা দেয় নাই। গরুর হাটে খাস কালেকশন বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বাজারের গরুর হাট বন্ধ করতে মাইকিং করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন থেকে চিকনাগুল বাজারের খাস কালেকশনের ইজারা দেয়া নিয়ে তোলপাড় চলছে। একটি পক্ষ তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি)‘র জাল স্বাক্ষর করে দাবী করছে তারা বাজারের বৈধ ইজারাদার। আবার অন্য পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে বাজারে টোল আদায় করতে বৈধ ইজারাদার দাবী করেন। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন বৈঠকে বসে।এতে বেরিয়ে আসে স্মারক জালিয়াতির ঘটনা। একটি সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা প্রশাসন স্মারক জালিয়াতির ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ জানান, ইউনিয়নের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে অভ্যন্তরে অবস্থিত হাট বাজারের টোল আদায় করতে অতীতের মত ইউনিয়ন পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক নিলাম ডাক আয়োজন করে বাজারের টোল আদায় করতে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। ভ্যাট ও আয়কর সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়। অবশিষ্ট টাকা ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি তহবিলে জমা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে সাময়িক ভাবে ইউনিয়ন থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত ইজারাদার কে বাজারের টোল আদায় থেকে বিরত রাখা হয়েছে। স্মারক জালিয়াতির ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির হাসান পলাশ স্বাক্ষরিত স্মারকে দাবীদার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঠাকুরের মাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছমর আলীর পুত্র মো: মছদ্দর আলী জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারার বিষয়টি অস্বীকার করায় তিনি আর বাজারের খাস কালেকশন করতে যাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা জানান,উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি দেয়ায় বাজারের খাস কালেকশন উত্তোলন করা হয়েছে। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে এবং খাস কালেকশন বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানাগেছে। আজ রোববার সকাল থেকে চিকনাগুল হাট বাজার থাকায় খাস কালেকশন উত্তোলন নিয়ে দু‘টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।