বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: ড. সৈয়দ রাগীব আলী
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডটকম: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমার রাগীবনগরস্থ লিডিং
ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও দোয়া মাহফিল
অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান
দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, ট্রেজারার বনমালী ভৌমিকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-
কর্মচারিবৃন্দ।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিন্ট্রার (এডমিশন) মো. কাউসার হাউলাদারের সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং
ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সাথে নিহত অন্যান্যদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করতেই ১৫ আগস্ট বিপদগামী সেনারাসহ দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ নির্মম হত্যাকা- ঘটানো হয়।
এরপরও দেশ আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর এই উন্নতির রুপকার ছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার
স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে তার আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী
শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এবং দেশের উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
আমাদের আগামী প্রজন্মকে মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে এবং তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলতে হবে।
তিনি শ্রদ্ধা ভরে বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অভিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারবর্গকে স্মরণ করেন এবং তাদের
বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, আদর্শিক, মানবিক গুণাবলী রয়েছে তা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড়
অর্জন। তারই সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি আজ সম্ভাবনাময় আগামির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২১ এর মাধ্যমে জাতির পিতার সেই সপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি এ মহান নেতা এবং তার
পরিবারবর্গের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলা
যাবে না। বাঙালি জাতির হৃদয়ের মনিকোটায় তিনি চির জাগরুক থাকবেন। তার অবদান দেশ ও জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং
লিডিং ইউনিভার্সিটির পক্ষে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং উপাচার্য
প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, ট্রেজারার বনমালী ভৌমিকসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। এরপর লিডিং
ইউনিভার্সিটিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে একইভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো. জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম,ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য বিভাগের
বিভাগীয় প্রধান স্থপতি রাজন দাশ, ইইই বিভাগের বিভাগীং প্রধান রুমেল এম.এস. রহমান পীরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা,
শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।