তাহিরপুরে শিশু তোফাজ্জল হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
দৈনিক সিলেট ডট কম
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সাত বছরের শিশু মাদ্রাসাছাত্র তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের সার্ব্বোচ্য শাস্তিসহ দ্রুত বিচারের দাবিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা সদরে আব্দুজ জহুর চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়।‘খেলাঘর’ তাহিরপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের জুবায়েরের সাত বছরের শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের সর্ব্বোচ্য শাস্তিসহ দ্রত বিচার এবং শিশুর প্রতি সবধরণের সহিংসতা বন্ধে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপজেলা সভাপতি গোলাম সরোয়ার লিটন, সহসভাপতি হুসাইন আহমদ তৌফিক,সাধারণ সম্পাদক মাকছুম আহমেদ, মেঘনা আক্তার, ফারিয়া কানিজ, নিলুফা ইয়াসমিন,নওরিন আক্তার,শাম্মী আক্তার ,তমা, জোহা, পলি, জবা, লিজা, শাকিরা প্রমুখ।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদ, তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজয় কুমার দে প্রমুখ সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।
উল্লেখ্য-গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামের জুবায়েরের ছেলে মাদ্রাসাছাত্র তোফাজ্জল হোসেন নিজ গ্রাম হতে নিখোঁজ হন। পরদিন বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ হতে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়।
এরপর শনিবার ভোররাতে উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে সিমেন্টের বস্তায় বন্দি অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ।
শিশু তোফাজ্জলের এক চোখ উপড়ে ফেলে ও এক পা ভেঙ্গে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার করে তার মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে রেখে যায় ঘাতকরা। লাশের পাশে রাখা অপর একটি সিমেন্টের বস্তায় বাঁধা ৬টি ইট জব্দ করে থানা পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে হত্যার পর অপর সিমেন্টের বস্তা ভর্তি ইটগুলো মরদেহের সঙ্গে বেঁধে গ্রামের সামনে থাকা সংসার হাওরের গভীর পানিতে ফেলে দিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেছিল ঘাতকরা।
ইতিমধ্যে শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন সন্দেহভাজন আসামি সারোয়ার হাবিব রাসেল (২১)।