যৌন কামনা রুখতে যৌনাঙ্গচ্ছেদ, কিশোরীর মৃত্যু

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:যৌন চাহিদা আটকাতে এক কিশোরীর যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরী। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মিসরের দক্ষিণে আসিয়ুত প্রদেশে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মা-বাবা নিজেরাই ওই কিশোরীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় ওই কিশোরী।
এ ঘটনার পর শুক্রবার কিশোরীর মা-বাবাসহ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
মিসরের সমাজকর্মীদের দাবি, এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। বহু দিন ধরে মিসর ও মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোতে মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের প্রথা চলে আসছে।
তাদওয়েইন জেন্ডার স্টাডি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমেল ফাহমি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে মিসরে আরও অনেক নাবালিকারও একই অবস্থা হতে পারে। কারণ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই প্রথা ঠেকাতে এখনো বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আইনে এই প্রথা অপরাধের চোখে দেখা হলেও দেশটির বিচার বিভাগ নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদকে অপরাধ হিসেবে দেখে না বলে দাবি তার।
২০০৮ সালে মিসরের সংসদে নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের প্রথা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালে এই আইনে কঠোর সাজার কথাও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আইন তৈরি হলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।
২০১৫ সালে সরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মিসরীয় নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের ঘটনা প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়।