মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে অমর একুশে পালিত
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডটকম:বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে পালিতে হয়েছে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে সিলেট শহিদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক এবং ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাহের বিল্লাল খলিফা, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সহকারী প্রক্টর লোকমান আহমদ চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর মো. আব্বাছ উদ্দিন প্রমুখ।
এদিকে, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. তাহের বিল্লাল খলিফা। বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল হক চৌধুরী, সিএসই বিভাগের প্রধান ড. এএসএম ইফতেখার উদ্দিন, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা প্রমুখ। জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বিউটি নাহিদা সুলতানার সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সৈয়দ সাফায়াত আহমেদ।
সভায় অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন বলেন, ‘আমাদের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে যতোটুকু মর্যাদা দেওয়ার কথা, ততোটুকু আমরা দিতে পারিনি। এর অন্যতম কারণ, অনেকে এর শুদ্ধ উচ্চারণের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন কিংবা শুদ্ধ উচ্চারণ যে জরুরি সেটা বুঝতে পারেন না। আমরা অনেকেই শুদ্ধভাবে বাংলা পড়তে পারি না, শুদ্ধভাবে বাংলা লিখতে পারি না।এমনকি শ্রদ্ধাঞ্জলি বানানটিও ভুল করেন অনেকে। এ বিষয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সচেতন হতে হবে।’
অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক বলেন, ‘‘ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। ভাষাগত উপনিবেশীকিকরণ-এর সূত্রপাত ঘটে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। যে রেসকোর্সে ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জিন্নাহ ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’, সেই রেসকোর্সেই জাতির জনক বঙ্গববন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে ভাষার স্বাধীনতা তো অবশ্যই, ভৌগলিক স্বাধীনতাও এনে দিয়েছিলেন।’’
অমুর একুশে’র কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।