ড.মোমেন: জনতার মন্ত্রী, জনতার পাশে- সহজ গভীর অনায়াসে
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ এপ্রিল ২০২০, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
আশীষ দে,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: পাশ্চাত্যর দেশগুলোতে সাংসদ,মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাধারণ মানুষের সুখ দু:খের কথা যতো সহজে পৌঁছে দেওয়া সহজ, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঠিক ততোটাই কঠিন।
মন্ত্রী এমপিরা “চোখে টিনের চশমা ও কানে তুলা গুজে বসে থাকেন” বলেও এককালে আমাদের দেশে কথা প্রচলিত ছিলো। কিন্তুু এখন পরিস্থিতি ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে কেননা আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন যিনি দেশের প্রত্যেকটি ধুলিকণার খবরও রাখেন বলে আমি বিশ্বাস করি। একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার এলাকার সম্পর্কে যে খবরাখবর রাখেন তার অধিক তথ্য থাকে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এত বিচক্ষণ, এতো মেধাবী, এতো দ্বায়িত্বশীল,এত স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে আর কোথাও দেখিনি।
তিনি যখন বক্তৃতা দেন আমি তখন অপলকে থাকিয়ে থাকি, একজন মানুষ কিভাবে এতটা স্মার্ট হতে পারেন?
সেই স্মার্ট প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট একজন মন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন, যিনি সিলেট ১ আসনের সম্মানিত সাংসদ ও বর্তমান সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিলেটের মানুষের চাওয়া পাওয়ার ব্যাপারে ড. মোমেন সবসময়ই অত্যন্ত যত্নশীল, সিলেটের প্রতিটি বিষয়ে তিনি যেভাবে খোঁজখবর রাখেন তা সত্যিই অতুলনীয়। বিশেষ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সশরীরে জনতার কাছে আসতে না পারলেও তিনি প্রতি মুহূর্ত যুক্ত থাকেন সিলেটের সাথে। কথা বলেন, দলের নেতা-কর্মীর সাথে, প্রশাসনের সাথে,সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে।
নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য খাদ্যসহায়তা পাঠানোর পাশাপাশি লোকদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে ড. মোমেন তৎপর রয়েছেন।
তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলোজি বিভাগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য স্থাপিত হয়েছে পিসিআর ল্যাব।করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা যাতে সুষ্টভাবে হয় সে জন্য তিনি সিলেটে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ইউনিটকে আধুনিক এবং সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ইতোমধ্যে যন্ত্রপাতি আসা শুরু করেছে।
তাই যতই দিন যাচ্ছে মোমেনে সিলেটবাসী ততোই মুগ্ধ হচ্ছেন। নিজের রাজনৈতিক ইতিহাসটা খুব দীর্ঘ না হলেও মানুষের কাছাকাছি এসে, মানুষকে ভালোবাসে খুব দ্রুত পরিনত হয়েছেন “জনতার মোমেনে “।
কুটনীতিতে সিদ্ধহস্ত এই নেতা টক,ঝাল, মিষ্টি করে সফলতার সহিত সামলাচ্ছেন পররাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়। টক,ঝাল,মিষ্টি বললাম কারন বন্ধু রাষ্ট্রকে যখন মিষ্টি আচরণে বুঝাতে সক্ষম হওয়া যায়নি তখন দেশ ও জাতির স্বার্থে তাকে কঠোর হয়ে কথা বলতেও আমরা দেখেছি। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে দেশের জন্য ব্যাপক সফলতা অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছেন।
১৮র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সিলেটের মানুষের প্রতিটি সমষ্টিগত প্রয়োজনে পাশে থাকে সাহস জুগিয়েছেন ও সমস্যা নিবারনের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।
অতি সম্প্রতি করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সিলেটে যখন ভেন্টিলেটর নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড়,ঠিক তখনই তিনি এগিয়ে এসেছেন। সিলেটের হাসপাতালে প্রযোজনী আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া সিলেটকে ডিজিটাল ও উন্নত সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে তার গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
একজন অভিভাবক যেভাবে সব কিছুর খোঁজ খবর রাখেন ও সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন,ড. একে আব্দুল মোমেন সিলেটের সেই যোগ্যতম অভিভাবক, যার কাছে সিলেটবাসী খুব সহজেই তাদের দাবী দাওয়ার কথা তুলে ধরতে পারেন।
জীবনানন্দ দাস এর ভাষায় তাই বলতে হয়-
“আমার এমন কাছে— আশ্বিনের এত বড়ো অকূল আকাশে
আর কাকে পাবো এই সহজ গভীর অনায়াসে—”
জয় হোক একে আব্দুল মোমেনের! জয় হোক মানবতার !
দুর্যোগময় এই দিনগুলো অচিরেই ঘুচে যাবে সেই প্রত্যাশায় সবার প্রতি শুভকামনা রইলো।