ছাতকবাসীকে করোনার মুক্ত রাখতে সেচ্ছাসেবকদের আপ্রাণ চেষ্টা
দৈনিক সিলেট ডট কম
মিলাদ হোসেন শুভ :মহামারি করোনা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানসহ নানা পেশাজীবীর তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসছে। সামনের সারি থেকে যারা এ যুদ্ধ মোকাবেলায় যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন তাদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকরা অন্যতম।
সুনামগঞ্জ ছাতকে করোনা মোকাবেলায় সামনের সাড়িতে থেকে সেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছে যেন করোনার প্রকোপ থেকে ছাতকবাসীকেমুক্ত রাখা যায়।
রোগীদের খাবার পৌঁছানো, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, সেনিটাইজার বিতরণ, শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করণ থেকে শুরু নমুনা সংগ্রহে সহযোগিতা, দাফন কাফনে সহযোগিতা, লগডাউন বাস্তবায়ন, চাল বিতরণে সহযোগিতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকল কাজেই সহযোগিতা করছেন এই সেচ্ছাসেবকরা।
সুনামগঞ্জ ছাতক উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে অনেকেই। এর মধ্যে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন রোগী। করোনা প্রকোপের প্রথম দিকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ লগডাউন বাস্তবায়নের কারণে করোনা এ উপজেলায় তেমন ছড়াতে পারেনি। আর এসব কাজে যারা সার্বক্ষনিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন সেচ্ছাসেবকরা।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেচ্ছায় কাজ করতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আগ্রহীদের যোগাযোগ অনুরোধ জানালে উপজেলার যুবকরা এতে সাড়া দেয়। এদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১৩টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভার জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক ৫ থেকে ১০জন করে সদস্যকে মনোনিত করে তাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে গড়ে তুলে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির ।প্রতেক্ষ ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের হাতে আইডি কার্ড ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তুলে দেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রতি ইউনিয়ন থেকে একজন টিম লিডারদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃগোলাম কবির। তরুন প্রজন্মের এ সামনের সাড়ি থেকে কাজ করার কারনেই প্রশাসনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা আর করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃগোলাম কবির বলেন, উপজেলায় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রামাঞ্চল, হাটবাজারে মানুষকে সচেতন করতে আমরাগুটিকয়েকজনের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এ সেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে বাজারে বাজারে সচেতনতা তৈরি, মাইকিং, খাদ্য সামগ্র বিতরণ, কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়নে তদারকি, মহাসড়কসহ গ্রামের বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, খাদ্যসামগ্রী ও সরকারী অনুদান বিতরনে তাদের মাধ্যমে ভেরিফাই করাসহ সবধরনের কাজে সম্পৃক্ত করেছি।