‘এর পর কী আমি’ হোয়াইট হাউজের সামনের বাঙালি তরুণী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২০, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক : জর্জ ফ্লয়েড হত্যার নিন্দা, প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সারা আমেরিকায় চলমান উত্তাল বিক্ষোভে প্রবাসীরাও পিছিয়ে নেই। এই আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে লুটতরাজের ভিকটিম যেমন হয়েছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা, ঠিক তেমনি বহু মিছিলেও প্রবাসীরা সোচ্চার রয়েছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের সামনের বিক্ষোভে আরো অনেকের সাথে ছিলেন ভার্জিনিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী তরুনী ফামি মুমতাহিনা। দাঙ্গা পুলিশের সামনে ‘এর পরে কী আমি’ লেখা একটি প্লেকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থেকে বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণে লিপ্ত পুলিশের নিন্দা করেন। নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কোয়ার, ইউনিয়ন স্কোয়ার, ব্রুকলীনে ফ্লাটবুশ, জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হাজারো জনতার বিক্ষোভে দেখা গেছে বাংলাদেশীদেরকেও। করোনার আতংক সত্বেও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেকার এই ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লয়েডকে নির্মমভাবে হত্যায় অভিযুক্ত চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই সেকেন্ড ডিগ্রি খুনের অভিযোগ পেশ করা হয়েছে মঙ্গলবার অপরাহ্নে। এরফলে আন্দোলনের মেজাজ কিছুটা নরম মনে হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৯ জুন ফ্লয়েডের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। ২৫ মে মিনেসোটা স্টেটের মিনিয়াপলিস সিটিতে কাপ ফুড নামক একটি রেস্টুরেন্টে কিছু খাবার ক্রয়ের জন্যে ২০ ডলারের একটি নোট দিয়েছিলেন ফ্লয়েড। সেটি নাকি জাল ছিল বলে নিকটস্থ পুলিশে ফোন করেছিল ঐ রেস্টুরেন্টের মাালিক। এরপর টহল পুলিশের একটি গাড়ি এসে ফ্লয়েড(৪৬)কে গ্রেফতার করে গাড়িতে উঠায়। কিছুক্ষণ পর তাকে হাতকড়া পরাবস্থায়ই গাড়ি থেকে বের করে ডেরেক চৌভিন নামক এক
অফিসার পুলিশের সেই গাড়ির পেছনের চাকার কাছাকাছি স্থানে ফেলে দিয়েই ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাটু চাপা দিয়ে ধরেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে। এরপরই কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছে ২৬ মে। সর্বশেষ ৩ জুন দিবাগত সন্ধ্যা থেকে ৪ জুন বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লসএঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া, মিনিয়াপলিস, আটলান্টা, ডালাস, ফিনিক্সসহ ২০টিরও অধিক সিটিতে কাফিউ ছিল। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ৩ জুন পর্যন্ত ১০ জন নিহত এবং লুটতরাজ, অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর ও কার্ফিউ লংঘনের জন্যে ১০৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে।