ইসলাম আমাকে বিজ্ঞানচর্চায় মনোযোগী করেছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২০, ১২:০৬ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেটডেস্ক:অধ্যাপক জ্যাকি উইং চীনা ধারার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করার পর সিঙ্গাপুরের মূলধারার মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হন। তখন বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয় তাঁর। আর তখনই ধর্ম সম্পর্কে তাঁর মনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় জীবনের উদ্দেশ্য ও অর্থ খুঁজতাম। আর ধর্মগুলোতেই এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতাম।’
অধ্যাপক উইং মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় থেকে ধর্ম নিয়ে, বিশেষত ইসলাম বিষয়ে পড়তে শুরু করেন এবং তাঁর ৩০-পরবর্তী সময়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। একজন বিজ্ঞান গবেষক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইসলাম মানুষকে জ্ঞান ও বিজ্ঞান শিখতে বলে, যা মানুষকে সত্যিকার বিজ্ঞানমুখী করে। তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত ও জ্ঞান মানুষকে স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দেয়। সুতরাং আমি মনে করি না ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো পারস্পরিক সমস্যা আছে। বিজ্ঞান আমাকে সত্য চিনতে সাহায্য করেছে আর ইসলাম আমাকে প্রতিশ্রুতিশীল বিজ্ঞানকর্মী হতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার জন্য ইসলামগ্রহণ কোনো কঠিন বিষয় ছিল না। কেননা ইসলাম খুবই সহজ-সরল ধর্ম। বিশেষত ইসলামগ্রহণের পদ্ধতি খুবই সহজ। ইসলামের সহজ-সরল জীবনপদ্ধতি মানুষকে মুগ্ধ করে।’ অধ্যাপক জ্যাকি উইং বলেন, ‘আমি যখন প্রথম কোরআন খুলে বসি, আমার স্পষ্ট ধারণা হয় এটি একটি অসাধারণ ও বিশেষ গ্রন্থ।’
অধ্যাপক উইং বিজ্ঞান গবেষণার জন্য এ পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি পুরস্কার পেয়েছেন এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে তাঁর শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের ‘দি এজেন্সি ফর সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড রিসার্চ’-এর ন্যানো বায়ো ল্যাবের প্রধান। এ ছাড়া বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের একজন হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সিঙ্গাপুরে ইসলাম ও মুসলমানের উন্নয়নে কাজ করেন। বাকি জীবন তিনি মানবকল্যাণে কাজ করে যেতে চান।
অ্যাবাউট ইসলাম থেকে আবরার আবদুল্লাহর ভাষান্তর