দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ঘরবাড়ি ও গরু চুরির উপদ্রব বেড়েছে
দৈনিক সিলেট ডট কম
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও ৩য় দফা বন্যা দিশেহারা মানুষ। এই করুণ পরিস্থিতিতেও উপজেলায় উদ্বেগ জনক হারে গরু চুরির উপদ্রব বেড়েছে। আতঙ্কে ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন অনেক এলাকার মানুষ। বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় নৌকা যোগাযোগ সহজ হওয়ায় গরু চুরেরও উপদ্রব বাড়ার পাশাপাশি ঘরবাড়ি চুরিও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মানুষ। চোরের উপদ্রব বাড়ায় প্রতিদিনই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। ফলে অনেক এলাকাতেই নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই পুলিশ টহল বাড়াবার দাবি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের।
জানা যায়, উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ৪ টি, হোসেন আহমদের ৫ টি, ফারুক হাজীর ৫ টি, হাফিজ আলীর ২ টি, নুরপুর গ্রামের উস্তার আলীর ৭ টি ও দরগাপাশা গ্রামের সৈয়দ তজমুল আলীর ১৩ টি গরু চুরি হয়েছে। এবং উজানীগাও কাজী বাড়ির পাশের ঘর জিয়াউর রহমানের বাড়ি চুরি হয়। জিয়াউর রহমান বলেন আমার ঘরে থাকা মালা-মাল চোরেরা নিয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতিতে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ এই সকল গ্রামের মানুষজন।
সৈয়দ তজমিল আলী বলেন, আমার ১৩ টা গরু চুরি হয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতিতে চোরেরা আমার সব শেষ করে দিয়েছে। এই চোর সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবী জানাই।
আমার ঘরের সবকিছু চোর নিয়ে গেছে। বন্যার সুযোগে চোর চক্র এখন সক্রীয়। এদের চিন্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।
সচেতন মহলের মতে, এই মহামারী করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতে চোরের বেশ উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এখন থানা পুলিশের টহল জোরদার করলেই চোরের উপদ্রব কমবে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, চুরি ডাকাতি রোধে আমরা রাত্রিকালীন পুলিশের টহল বৃদ্ধি করেছি। বিট পুলিশিং গতিশীল করেছি। এছাড়া রাত ১ টার পর কাউকে বাইরে পেলে তাৎক্ষনিকভাবে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।