স্ত্রী নিয়ে ২ স্বামীর দ্বন্দ্ব : একজনের মৃত্যু অপর জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দা নুপুর বেগমকে নিয়ে তার সাবেক ও বর্তমান; দুই স্বামীর দ্বন্দ্বে সৃষ্ট সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার ওই নারীর প্রথম স্বামী শাহ আলম বিশ্বাস (৪৫) মারা যান। জানা গেছে, নুপুরের বর্তমান স্বামী আ. রহমান হাওলাদারের (৪৮) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আ. রহমান হাওলাদারের পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে আজ সোমবার সকালে শাহ আলমের লাশ তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। অবশ্য ঢাকা শাহাবাগ থানায় এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ ছাড়া শাহ আলমের লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়েছে। নিহতের ছোটভাই ফারুক এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত শাহ আলম উপজেলার পশ্চিম খাদা গ্রামের মানিক হাওলাদারের মেয়ে নুপুর বেগমের (৪০) প্রথম স্বামী ছিলেন। তার দুটি দুই সন্তান আছে। গত ২০ বছর আগে পশ্চিম কদমতলায় তার ভাইয়ের সঙ্গে নুপুরের বিয়ে হয়।
জানা গেছে, শাহ আলম বিদেশে থাকতেন। এ সুযোগে একই গ্রামের মো. আ. মজিদ হাওলাদারের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী রহমান হাওলাদারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নুপুর। বেশ কিছুদিন প্রেম চলার পর রহমান ও নুপুর দুজনে দুজনকে বিয়ে করতে আগ্রহী হন। এক পর্যায় শাহ আলমকে তালাক দেন নুপুর এবং রহমানকে বিয়ে করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন শাহ আলম বিশ্বাস। গত ২২ জুলাই রাতে তিনি রহমান হাওলাদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে রহমান হাওলাদারের আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে শাহ আলম বিশ্বাসের উপর হামলা চালায়। এতে তিনিও মারাত্মক আহত হন। পরে আহত দুজনকেই প্রথমে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠান। পরে সেখান থেকে শাহ আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, পরস্পারিক হামলার ঘটনায় নুপুর বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে শাহ আলমের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ হয়নি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-আমাদেরসময়