করোনার সংক্রমণ ঠেকাবে বিশেষ ইনহেলার

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে তটস্থ বিশ্ব। তাই ভাইরাসটিতে প্রতিরোধে ওষুধ তৈরিতে চলছে গবেষণা। এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল শুরু করেছে। এদিকে করোনা রোধে আরো একটি নতুন পদ্ধতির কথা শোনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এক বিশেষ ধরণের ন্যাজাল স্প্রে’র কথা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই স্প্রে নাকে দিলে ভাইরাস আর নাক থেকে বাইরে আসবে না। এতে করে করোনা সংক্রমণ আটাকানো সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
সানফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি’র প্রধান কর্মকর্তা এই ন্যাজাল স্প্রেটি তৈরি করেছেন। এটি নিউট্রিলাইজার অ্যান্টিবডি’র মতো প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ফলে তা সরাসরি ভাইরাসকে সংক্রমিত হওয়া থেকে আটকাতে পারে।
এক ধরণের নতুন সিন্থেটিক পদার্থ তৈরি হয়েছে, যা ইনহেলর স্প্রে হিসেবে কাজ করছে। যেভাবে সার্স কোভ-২ মানুষের কোষে প্রবেশ করে, সেটাকেই আটকে দিচ্ছে এই ইনহেলার থেকে নিঃসৃত বস্তু। এই জিনিস প্রিপিন্ট সর্ভর বায়োরিক্সভ’এ পাওয়া যাচ্ছে। এটি সার্ভ কোভ-২’র সবচেয়ে বড় অ্যান্টিভাইরাল।
মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপির প্রয়োগে ইনহেলর এরোনেক্স তৈরি করা হয়েছে। ন্যানো অ্যান্টিবডি -অ্যান্টিবডির ছোট সংস্করণ।
অ্যান্টিবডির কাজ হচ্ছে শরীরের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা। আর এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ন্যানো অ্যান্টিবডি আমাদের শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিবডির মতোই হয়। তবে এটা সার্স কোভ-২’র বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
করোনাভাইরাস প্রথম মানুষের কোষগুলিকে নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর জন্য এসিই২- রিসেপ্টর’এ প্রথম হামলা চালায়। এই স্প্রে ন্যানো অ্যান্টিবডি করোনা প্রোটিনকে এখানেই আটকে দেয়। এ কারণে ব্লক হয়ে যাওয়া এসিই২ রিসেপ্টর প্রোটিন জুড়তে পারে না এবং তা কোষে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে না।
তবে এই ইনহেলারটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনো হয়নি। যদি সফলভাবে এই স্প্রের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়, তাহলে খানিকটা হলেও করোনা সংক্রমণ রোধ করা যাবে।