করোনা-সাধারণ জ্বরের মধ্যে পার্থক্য

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনার (কোভিড-১৯) সংক্রমণে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে দ্রুত চরিত্র বদল করছে করোনা। এক্ষেত্রে মানুষের বয়স, লিঙ্গ বা শরীরে থাকা গুরুতর কোনো রোগের উপর নির্ভর করে এই ভাইরাস তার আক্রমণের পদ্ধতিও বদলে নিচ্ছে। তবে এ সময় অনেকের সাধারণ জ্বরও হচ্ছে। এমতাবস্তায় কোনটা সাধারণ জ্বর আর কোনটা করোনা ঘটিত তা বোঝা জরুরি।
মানব শরীরে করোনার আক্রমণের পদ্ধতি থেকেই এটিকে অন্য যে কোনো ফ্লু বা ভাইরাল জ্বর থেকে আলাদা করা যেতে পারে। সম্প্রতি সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনার উপসর্গকে দ্রুত বুঝতে পারলে অসুস্থ ব্যক্তি নিজেকে দ্রুত আইসোলেশনে রাখতে পারবেন। এতে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রাও কমবে। এক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণ ও শরীরে তার ক্রমবিস্তার নিয়ে একটি নির্দিষ্ট ধরনের কথাও জানান বিশেষজ্ঞরা।
তারা আরো জানান, পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রথমেই বেশ জ্বর দেখা যায়। কিন্তু সাধারণ জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে প্রথমে সাধারণত সর্দি-কাশি হয়, এরপর জ্বর হয়।
বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, কোনো ভাইরাল জ্বরে অনেক সময় একাধিক উপসর্গ দেখা যায়। কখনো অল্প সর্দিকাশি, গা হাত-পা ব্যথা হয়। তবে করোনার ক্ষেত্রে এটা একটু আলাদা।
করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা ও তা পর্যবেক্ষণের পর করোনার উপসর্গগুলোকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা ও সাধারণ জ্বরের পার্থক্য :
১. করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথমে জ্বর হবে।
২. এরপর সর্দি-কাশি ও পেশিতে ব্যথা শুরু হবে।
৩. একই সঙ্গে বমি ও পেট খারাপও শুরু হতে পারে।
৪. শেষের দিকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়।
তবে এই উপসর্গগুলো চূড়ান্ত নয়। কারণ শরীর ভেদে চরিত্র বদলাচ্ছে করোনা। নতুন অনেক উপসর্গও দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় কোনো উপসর্গই দেখা যাচ্ছে না। অনেকের ক্ষেত্রে আবার মৃদু উপসর্গও দেখা যাচ্ছে। যেমন- বুকে ব্যথা, গন্ধ না থাকা এগুলোও করোনার লক্ষণ হতে পারে।
তবে উপসর্গ ও ভাইরাসের বিস্তারের ধরন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা ভালো। এতে কিছুটা হলেও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।-বাংলা