নরপিচাশদের শাস্তি হোক গণসম্মুখে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৪:০৩ অপরাহ্ণ
ফারজানা মৃদুলা: প্রতিটি মেয়ে একটা কাল পার করে তাদের পরম নিরাপদ আশ্রয় পিত্রালয়ে। সেখানে বটবৃক্ষ হয়ে বাবা কিংবা বড় ভাই সার্বক্ষণিক ছায়া হয়ে থাকে। এরপর যখন বিয়ে হয়ে যায়, তখন স্বামী তার পরম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়।
এটাই সত্য ও বাস্তব।
কিন্তু একি! ভয়াবহ সমাজে বাস করছে
একটি মেয়ে, তার সেই নিরাপদ নিরাপত্তা দেবার মানুষটির সাথে থাকার পরও কিছু নরপিশাচ এর থাবা থেকে রক্ষা মেলেনি তার।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমসি কলেজ সেখানকার ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তাকে গণধর্ষণ করা হলো।
হায় ! কি নিরুপায় আমরা এসব দলীয় মুখোশধারী শয়তান গুলোর কাছে।
এই নরপিশাচ গুলোকে দল থেকে বহিষ্কার করে কিংবা অস্বীকার করে কোন সমাধান হবে না আদৌ। তারা দলের ক্ষমতা বলয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেই যাবে।
জন্মের পর যদি সুশিক্ষিত না করে, পথে ছেড়ে দেন তারা তো বেজন্মাই হবে।
তাই দয়া করে এখনি পদক্ষেপ নিন শক্ত হাতে। আমাদের বোনদের যাতে আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে না হয়।
আর যেন কোন বোন তার স্বামীর সাথে থেকে এমন নির্মম ঘটনার শিকার না হয়।
আমরা কত লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ স্বাধীন প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ পেয়েছি কিন্তু পারছি কি সেই বাংলাদেশের সম্মান ধরে রাখতে?
কেন আজ নারীদের প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়।
ঐ সকল অমানুষ গুলোর শিকড়ের সন্ধানে না পৌঁছাতে পারলে এমন দৃশ্যপট বার বার ফিরে আসবে, এমনকি আসছেও।
যদিও আমাদের প্রশাসন চমৎকার ভূমিকা নিয়েছে তাদের ধরে আইনের আওতায় আনতে তৎপর কঠোরভাবে কিন্তু আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে যেন দাপটের সাথে ঐ সকল আসামীরা বেরিয়ে না পড়ে এবং তাদেরকে অতিদ্রুত শাস্তি নিশ্চিতকরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা আবশ্যক।
হয়ত আবারো এমন হতে পারে,বলা হবে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয় অন্য দলের হয়ে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন করছে।
এমনটি করে ঘটনার চাপা দিলে তাদের নাড়ীনক্ষত্র বের করা যাবে না। আর শিকড় উপড়ানো সম্ভব হবে না।এতে করে প্রিয় মাতৃভূমি আরো ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।
কালক্ষেপন না করে ঐ সকল নরপিচাশদের শাস্তি গণসম্মূখে করা গেলে এদের বংশ
নিশ্চিত ধ্বংস হবে।
আমরা ঐ সকল পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করি ভুক্তভূগি আর তাদের পরিবারের সদস্যরা কতটুক অসহনীয় যন্ত্রণায় কাটাচ্ছে প্রতিক্ষণ। আমরা তাদের শান্তনা দিয়ে পাশে থাকা উচিৎ। কিন্তু শান্তনার ভাষা যেনো এমন না হয় “কাঁটা গায়ে নুনের ছিটে” বরং সমাজের এমন ভূমিকা নেওয়া উচিৎ ঐ সকল অমানুষদের পরিবারের সদস্যদের ধিক্কার জানানো ।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট