শ্রীমঙ্গলের হাওরে কমছে দেশি প্রজাতির মাছ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওর দেশের মৎস্য ভা-ারের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত পাঁচ বছরে এই হাওরে মাছের সার্বিক উৎপাদন বাড়লেও কমেছে দেশি প্রজাতির মাছের সংখ্যা।
মৎস্য অফিস সংশ্লিষ্টরা বলছেন অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, সেচ মেশিন দিয়ে হাওর সেচে মাছ ধরা এবং ফসলি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় দেশি মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। যার দরুন বিলুপ্ত হচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ।
হাইল হাওরে এখন পাওয়া যায় বোয়াল, ছোট চিংড়ি, রুই, কাতলা, শিং, মাগুর, ঘনিয়া, বইচা, কালবাউশ, গ্রাস কার্প, খলিশা, লাল খলিশা, গুতুম ইত্যাদি মাছ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, হাইল হাওরে বিলুপ্ত মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি, পাবদা, মহাশোল, নানিন, লাচো, গাগলা, রিঠা, চেলাপাতা, বাচা, গুলশা, নুনা ট্যাংরা, ফুটকি বুজুরি, গুজি আইড়, ঘাঘট, কুটা কান্তি, তিনকাঁটা, চাপিলা, হুগা, খরচুনা মাছ ইত্যাদি। এসব মাছ তিন থেকে পাঁচ বছর আগেও হাইল হাওরে পাওয়া যেত বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। এছাড়া বিলুপ্তপ্রায় মাছের মধ্যে রয়েছে কাংলা, চিতল, তারাবাইম, হলদে ডোরা তারাবাইম, ভেদা, কই ইত্যাদি।
এ দিকে মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে মাছের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০১৮-১৯ সালে হাওরে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ উৎপাদন হয়েছে ৯৬০ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ সালে ছিল ৯৪৫ দশমিক ৬৭ মেট্রিক টন, ২০১৬-১৭ সালে ৯৪০ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন, ২০১৫-১৬ সালে ৯৩০ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন এবং ২০১৪-১৫ সালে ছিল ৯২৭ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন।
হাইল হাওর সংলগ্ন গ্রামের মৎস্যজীবী করিম মিয়া ও কালা মিয়া বলেন, ফসলি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় দেশি মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।