৭ তরুণীর মৃতদেহে একই ব্যক্তির শুক্রাণু, যেভাবে ধরা পড়ে মুন্না
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণের জঘন্যতম অপরাধের অভিযোগ উঠেছে মুন্না ভগত (২০) নামে এক ডোম সহকারীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডোম জতন কুমার লালের ভাগিনা মুন্না ভগত। সে মামার সঙ্গেই ওই হাসপাতালের মর্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দুই-তিন বছর ধরে মুন্না মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে সিআইডি।
কীভাবে উদঘাটন হলো এই ঘটনা
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইড) ডিএনএ টেস্টে তরুণীদের মৃতদেহে শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়ার পর চাঞ্চল্যের তৈরি হয়। কেন, কী কারণে আত্মহত্যাজনিত ঘটনায় উদ্ধার মৃত তরুণীদের শরীরে শুক্রাণুর উপস্থিতি মিলবে-শুরু হয় এই তদন্ত। এরপর বেরিয়ে আসে মর্গে থাকা একাধিক মৃত তরুণীর শরীরে আবার একই ব্যক্তির শুক্রাণু। পরে বেরিয়ে আসে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। মর্গের একজন ডোম দিনের পর দিন মৃত তরুণীর লাশের সঙ্গে এমন বিকৃত কাজ করেছে।
গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অন্তত সাত তরুণীর মৃতদেহে ওই ডোমের শুক্রাণু পাওয়া গেছে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, ‘জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর অভিযোগ। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পরই ওই যুবককে আটক করেছে সিআইডি।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না।’
মুন্নার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জতন লাল কুমার বলেন, ‘মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা নেশাটেশা করতো। কিন্তু এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।’