সস্তা কন্টেন্ট দিয়ে সিনেমাটিক পরিচিত করতে চাইনি : অতুল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেটডেস্ক: ওটিটি প্লাটফর্মের কন্টেন্ট মানেই যেনো এডাল্ট ও সুড়সুড়ি গল্পে ছড়াছড়ি। বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের দর্শকদের কাছে ওয়েব সিরিজ আর ওয়েব ফিল্ম নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি এমনই। কারণ দেশে বিদেশী কয়েকটি ওটিটি প্লাটফর্ম এমন ১৮ প্লাস কন্টেন্ট নিয়েই দর্শকদের কাছে পরিচিত করে তুলেছিলেন। অথচ যৌন সুরসুরিমূলক কন্টেন্ট ছাড়াই মানম্পন্ন গল্পের কাজ দিয়ে দর্শকদের কাছে পৌছে গেছে দেশের ওটিটি প্লাটফর্ম সিনেমাটিক অ্যাপ। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে বিদেশের সহায়তা ছাড়াই দেশেই আন্তর্জাতিক মানের স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ও ভালো কন্টেন্ট বানানো সম্ভব’-বলছিলেন লাইভ টেকনোলজির পরিচালক তামজিদ অতুল।
সিনেমাটিক প্লাটফর্মটি দেশের ডেভেলপার দিয়েই তৈরি। টেকনিক্যাল সব সাপোর্ট দেশের টেকনিশিয়ানরাই দিচ্ছেন বলে জানালেন মি. অতুল।
নতুন বছরে নতুন সাজে আসে এই সিনেমাটিক অ্যাপ। জয়া-প্রসেনজিতের ছবি ‘রবিবার’ দিয়ে শুরু করে নতুন বছরের নতুন যাত্রা। এরপর একে একে মুক্তি পায় রায়হান রাফীর সাড়া জাগানো ওয়েব ফিল্ম ‘জানোয়ার’ ও সঞ্জয় সমদ্দারে ’ট্রল’। জানোয়ার তো রীতিমতো ভাইরাল! আর ট্রল্ও হচ্ছে দর্শক নন্দিত।
অথচ অ্যাপটি যাত্রার তিন বছর আগে। তিনবছর ধরেই ম্যারাথন গতিতে এগিয়েছে দেশের নামী আইটি প্রতিষ্ঠান লাইভ টেকনোলজিসের ‘সিনেম্যাটিক’ অ্যাপ। এই তিন বচরে মানহীন কন্টেন্ট আসেনি এই প্লাটফর্মে। এ জন্যই খুব একটা আলোচনাতেও ছিলো না। কিন্তু নতুন বছরে হুট করেই নতুন উদ্যামে যাত্রা শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার ভালো কাজ দিয়ে দর্শকদের কাছে যাবে সিনেমাটিক। বছর শুরু থেকে তার প্রমাণ পাচ্ছেন দর্শকরা।
অ্যাপটি নিয়ে লাইভ টেকনোলজিসের পরিচালক তামজিদ অতুল বলেন, ‘দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই দেশের গল্পে দেশের কনটেন্ট দেখতে চান। তাই সিনেমাটিক শুরুর পর থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিলো ভালো কন্টেন্টের প্রতিনিধিত্ব করার। সস্তা কিছু কন্টেন্ট দিয়ে সিনেমাটিককে দর্শকদের কাছে পরিচিত করতে চাইনি কখনও। খেয়াল করলে দেখবেন, অনেক দেশি-বিদেশি বাংলা ওটিটি প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো এডাল্ট কনটেন্ট দিয়ে আলোচনায় এসেছে, কিন্তু আমরা ভালো কনটেন্ট দিয়ে ইউজারদের সিনেম্যাটিক পরিচিত করেছি। এ ধারাবাহিকতায় অব্যাহত থাকবে।’
মি. অতুল আরও বলেন, প্রতিমাসে আমরা সিনেম্যাটিকে প্রতিমাসে দুটি অরিজিনাল সিরিজ এবং দুটি সিনেমা মুক্তি দেব। শুধু যে অ্যাপের জন্য কনটেন্ট তৈরি করবো তা নয়, ইউটিউবে লাইভ টেকের জন্য আলাদাভাবে কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। ইউটিউব, অ্যাপ দুই মাধ্যমের জন্য তৈরি। বর্তমানে বাংলাদেশের দর্শক ‘সিনেম্যাটিক’ ব্যবহার করতে পারছে। ফেব্রুয়ারি থেকে গ্লোবালি ‘ইজি পেমেন্ট’ দিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে দর্শক কনটেন্ট দেখতে পাবেন।
শুরু থেকেই গতানুগতিক ধারার বাইরে হাটতে চেয়েছে সিনেমাটিক। বাংলা ভাষার দর্শকদের এমন কিছু দিতে চাইছে যা দেখতে তারা দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলেন। অতুল বলেন, ‘শুধু ব্যবসা করতে আসিনি আমরা। ব্যবসা করার জন্য অন্য অনেক মাধ্যমের দোয়ার আমাদের জন্য খোলা রয়েছে। এখানে ব্যবসার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চাটাও হোক সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ নিয়েইআমাদের এগিয়ে যাওয়া।’
সিনেম্যাটিককে ‘বাংলা সিনেমার আর্কাইভ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলে জানান তামজিদ অতুল। তিনি বলেন, ‘দেশের সিনেমাগুলো সংরক্ষণের সু-ব্যবস্থা নেই। অনেক কালজয়ী সিনেমা সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে। সবগুলো ছবিই পাওয়া যাবে ‘সিনেমাটিক’ অ্যাপে। দর্শকরা সহজেই এতে দেশের যে কোনো মুঠোফোন অপারেটর, নগদ ও ভিসা, ক্রেডিট ও মাস্টার্ড কার্ড দিয়ে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থে সাবস্ক্রাইব করে সকল কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারছেন। আগামিতে সিনেমার দৈর্ঘ্যের অরিজিনাল, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ অনেকগুলো নতুন কাজ হাতে নিয়েছি। চলতি বছরব্যাপী আমাদের কাজ চলবে। আশা করি বাংলাদেশি কন্টেন্ট এর জয় হবেই।এ যাত্রায় দর্শকদের পূর্ণ সমর্থন আমরা পাবো।’