লিডিং ইউনিভার্সিটিতে কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:০৩ অপরাহ্ণ
দৈনিকসিলেটডটকম:সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, ৫২সালে মাতৃভাষার জন্য যারা শহিদ হয়েছেন তাদের অবদান জাতির কাছে যুগযুগ ধরে চির অম্লান হয়ে থাকবে। শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তাদের আত্মত্যাগের ফলে আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, দেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম হচ্ছে শহর। তিনি বলেন, শহরের বাইরে রাগীব নগরে ব্যতিক্রমী নিপুন স্থাপত্য শৈলীর মাধ্যমে গ্রামীণ নির্মল পরিবেশে লিডিং ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়েছে। এই শিক্ষা নগরীতে দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় ৫২টি ভাষায় ‘মা’ শব্দ লিখা শহিদ মিনার লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি রাজন দাস ডিজাইন করেন এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হোমল্যান্ড এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মো.আক্তারুজ্জামান নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেন। স্থাপত্য শৈলীর দিক থেকে বাংলাদেশে এ ধরনের শহিদ মিনার বিরল এবং বিশ্বে ব্যতিক্রম। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি। লিডিং ইউনিভার্সিটির সুনাম বৃদ্ধিসহ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাবেক ও বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটির আয়োজনে কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ গ্রহণকারী কবি সাহিত্যিক ও শিল্পীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কবি সাহিত্যিক ও শিল্পীদের প্রতি আমার ভালবাসা প্রবল। তাদের কাছে আমি প্রাণের সুধা খুঁজে পাই। এজন্য তাদের পৃষ্টপোষকতা দিয়ে প্রেরণা যোগাই। তিনি সাহিত্য সাংস্কৃতির লালন করে জাতির ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন । তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটির ৫২টি ভাষায় ‘মা’ শব্দ লিখা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বনমালী ভৌমিক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আব্দুল হাই,সাদিকা জান্নাত চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.এম রকিব উদ্দিন,বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.মোস্তাক আহমাদ দীন, প্রক্টর মো.রাশেদুল ইসলাম, স্থাপত্য বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দা জেরিনা হোসেন,শহিদ মিনারের স্থপতি লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি রাজন দাস, শহিদ মিনার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হোমল্যান্ড এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মো.আক্তারুজ্জামান । অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সঙ্গীত ও মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এডমিশন)মো.কাওসার হাওলাদার। অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এটিএম সামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
লিডিং ইউনিভার্সিটির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এডমিশন) মো.কাওসার হাওলাদার এবং সিএসই বিভাগের প্রভাষক কাজী জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠে অংশ নেন -অধ্যাপক ড.এম রকিব উদ্দিন আহমদ, কবি মানকাজ জাহিদ হক, কবি কাজী জাহিদ হাসান,কবি ইমতিয়াজ সুলতান ইমরাম, কবি পিযুষ কান্তি তালুকদার, কবি তারেশ কান্তি তালুকদার, কবি কামাল আহমদ, কবি আতাউর রহমান বঙ্গী, কবি এম আহমদ আলী, কবি জৌতির্ময় দাশ যীসু, কবি ও গবেষক জসিম আল ফাহিম, কবি রেজাউল করিম রাজ,কবি উত্তম কুমার চৌধুরী, কবি জয়নাল আবেদীন বেগ,কবি ফায়যুর রাহমান,কবি জালাল উদ্দিন সরকার,কবি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, কবি মতিউর রহমান জীবন,কবি শহিদুল ইসলাম লিটন,কবি জোবেদা বেগম আঁখি, কবি একতার হোসেন,কবি রাশিদ আহমদ,কবি আলীম উদ্দিন আলম,কবি আরশ আলী, কবি সাদেক আহমদ এপলু,কবি ফাতেমা ফেরদৌস হীরা প্রমুখ।
মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাব,জনপ্রিয় মিউজিক্যাল ব্যান্ড ব্যান্ড কমিউনিটি ও ‘অরফিয়াস’ এবং বাউল কানাই লাল সরকার,উত্তম কুমার চৌধুরীসহ অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ।