রোমন্থনের ভাঁজে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মার্চ ২০২১, ৮:২২ অপরাহ্ণ
-হাসান টুটুল
সাতসকালে নোলক পরা নতুন প্রিয়া দেখতে নেই
পূর্ণিমা চাঁদ দেখবে বলে খোলা মাঠে থাকতে নেই।
নকশী কাঁথা বুণনগুলো সুতো খুলে দেখতে নেই।
কাষ্ঠকঠিন পিতার চোখে আদরের জল মাখতে নেই।
দুরন্ত সেই কিশোরীটার চুলের বেণী খুলতে নেই।
প্রথম প্রেমের সেই ব্যাথাটা এক জীবনে ভুলতে নেই।
কাঁটা ঘুড়ির সুতোর লাটাই আর যে ধরে টানতে নেই
মুখোশ পরা মানুষগুলোর কোন কথাই মানতে নেই।
শীতলক্ষ্যার কাব্যকথার নতুন মানে বুঝতে নেই
হারিয়ে যাওয়া কাছের মানুষ নতুন করে খুঁজতে নেই।
লড়াই করে বাঁচে যারা তাদের সঙ্গ ছাড়তে নেই
বানভাসি সব কচুরীপানা তাদের ছাঁয়া মাড়তে নেই।
ধসে পড়া খুঁটির সাথে নতুন বেড়া ঘিরতে নেই
যে পথটা পিছলে গেছে সে পথে আর ফিরতে নেই।
খেলা করা ঘাস ফড়িংটা কখনোই তা ধরতে নেই
জীবন থাকতে লড়তে হবে মরার আগে মরতে নেই।
সন্ধ্যাবেলায় ভোরের শিশির দুচোখ মেলে খুঁজতে নেই
সরে যাওয়া ছাঁয়ার ভাষা, আর নতুন করে বুঝতে নেই।
কদম ফুলের গন্ধ সুবাস বৈরি হাওয়ায় চাইতে নেই
জোনাক জলা নিশুত রাতে ডোবা জলায় নাইতে নেই।
অনেক দামে কেনা জিনিস হেলা ফেলা করতে নেই
মায়ের ভালোবাসার দামটা হিসেব নিকেশ করতে নেই।
সঙ্গে থাকা সঙ্গীগুলোর সম্পর্কটা মাপকাঠিতে মাপতে নেই
আধাঁর কালো ভয়ের মাঝে মোটেও ভয়ে কাঁপতে নেই।
সরল গরল সকল স্মৃতি কখনোই মনে পুষতে নেই
পড়ে যাওয়া স্বাধের লজেন্স তুলে আবার চুষতে নেই।
সত্য মিথ্যের ঝুলিগুলো একসাথে আর রাখতে নেই
সব মানুষের পাশে যেতে কোন কারণ থাকতে নেই।
2 - 2Shares