কানাইঘাটে ৩ সন্তানের জননী ধর্ষণ মামলা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মার্চ ২০২১, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাটে ৩ সন্তানের জননী বিধবা নারীর ধর্ষণ মামলা নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৩ সন্তানের ঐ জননী (৩২) তাকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতের বেলা গৃহে প্রবেশ করে একই গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে সিলেট সরকারী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র জুবায়ের আহমদ (২৫) ধর্ষণ করেছেন এমন অভিযোগ এনে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ধর্ষণ মামলা নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলাটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্র মূলক। ৩ বছর পূর্বে বিধবার স্বামী হারিয়ে ৩সন্তান কে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ধর্ষনের বিষয়ে জানতে চাইলে একই বাড়ীর সাইদুর রহমানের স্ত্রী রামিমা বেগম, আতিকুর রহমানের স্ত্রী আফতারুন নেছা, মামলার ৫নং সাক্ষী আতিকুর রহমান, এলাকার উমর আলীর পুত্র সাইদুর রহমান, আহমদ আলীর পুত্র লোকমান উদ্দিন, সামছুল হকের পুত্র আজমল উদ্দিন সহ অনেকে জানিয়েছেন, আমরা একই বাড়ীর পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা হয়েও আমরা কোন শোর চিৎকার বা ধর্ষনের কোন বিষয় জানতে পারিনি।
পরদিন বিকালে লোক মুখে বাজারে শুনতে পেরেছি। তবে আমিনা বেগম রাতভর মোবাইল ফোনে কে বা কাহার সাথে কথা বলেন। হয়তো পরকিয়া জনিত কোন সম্পর্ক থাকতে পারে। একজন মানুষ জোর করে বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষন করলে অবশ্যই আমরা সাথে সাথে টের পেতাম। পরদিন সকাল ১১টার দিকে বিধবার ভাইয়েরা এসে তাকে নিয়ে যান। কেন নিয়ে যান সে বিষয়ে আমরা জানতে পারিনি। ঘটনার আগের দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ঐ বিধবা পিত্রালয় হতে ২সন্তানকে রেখে ১সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বসত বাড়ীতে আসেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ১টার সময় ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা নিউজ ও মামলা সূত্রে জানতে পেরেছি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বিধবার সাথে জুবায়ের আহমদের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। এরই সুবাদে জুবায়ের আহমদ বিধবার কাছ থেকে কিছু টাকা ও স্বর্ণ নিয়েছেন। বিধবা তা ফেরত চাইলে জুবের আহমদ ফেরত দিতে অপারগতা দেখালে বিধবা এমন মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে জুবের আহমদের ভাই আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার ভাইকে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে, সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবী জানান। বিধবার সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি । পরে তার ভাই জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা এ ধর্ষনের সাথে জড়িত জুবায়ের আহমদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, কানাইঘাট থানায় বিধবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং উল্লেখিত আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
981 - 981Shares