সিলেট থেকে সরাসরি পণ্য রপ্তানির সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
দৈনিকসিলেট ডটকম : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, সিলেট থেকে সরাসরি বিদেশে পণ্য রপ্তানির প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। তিনি শুক্রবার সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এর আগে এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথাসময়ে কার্গো কমপ্লেক্সের নির্মাণ সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন।
সাংবাদিকরা সিলেটের সীমান্তবর্তী ভোলাগঞ্জে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন। যাতে ভারতের নাগরিকরা এ চেকপোস্ট সহজেই সিলেটের সীমান্তবর্তী সাদাপাথরসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে যাতায়াত করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “(ভোলাগঞ্জে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপনের বিষয়ে) আমি ঠিক জানি না। আমরা এই (ওসমানী) বিমানবন্দর অনেক বড় করছি। উদ্দেশ্য যে শুধু সিলেটের লোকজন বিদেশে যাবেন, সেটা নয়। (ভারতের) সেভেন সিস্টার্সের লোকেরা, করিমগঞ্জ, শিলংয়ের লোকেরা এখানে এসে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে আটটা বোর্ডিং ব্রিজ হবে। তখন এখান থেকে সরাসরি ফ্লাইট যাবে। এখন শুধুমাত্র লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে সরাসরি ফ্লাইট যায়; যা কোভিডের কারণে বন্ধ ছিল, এখন আবার শুরু হবে। (কাজ শেষ হলে) এখান থেকে বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাবে। তখন আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের লোকেরা এখানে এসে বিদেশে যাবেন।”
কার্গো টার্মিনাল ঘুরে দেখার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কার্গো টার্মিনালের কাজ মোটামুটি শেষের দিকে, মূল মেশিনটা বসে গেছে। এটা (মেশিন) ডিটেকশন (সনাক্ত) করবে যে কার্গোতে কী মালামাল আছে। এটার সবচেয়ে সুবিধা হলো, একসাথে অনেক কার্গো দিতে পারবেন। কিন্তু কার্গোতে কী আছে, তা প্রত্যেকটা আপনি ডিটেকশন করতে পারবেন। আমাদের দেশে এ ধরনের অনেকগুলো কার্গো কেনা হয়েছে। আরো ছয়টি ঢাকার জন্য কেনা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাদের সিলেটেরটা ইনস্টল (বসানো) হয়েছে। সুতরাং এটা একটা ভালো খবর।”
এসময় ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আহমেদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।