মিথুনের ঝড় তোলার দিনে লড়াকু সংগ্রহ সিলেটের

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেট ডেস্ক : বিপিএলে ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছে মোসাদ্দেক সৈকতের সিলেট। অর্থাৎ জিততে হলে মুশফিকের খুলনাকে করতে হবে ১৪৬ রান।
ইনিংসের প্রথম বলে খুলনার বোলার খালেদ দিয়েছিলেন বিশাল এক ওয়াইড। যার নাগাল পাননি উইকেটরক্ষকও। ফলাফল যা হওয়ার তাই। কোনো বৈধ ডেলিভারির আগেই সিলেটের রানের খাতায় যোগ হয় পাঁচ পাঁচটি রান। তবে বোনাস রানেও সূচনাটা ভালো হয়নি সিলেট সানরাইজার্সের।
ব্যাটিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না ক্যারিবীয় ব্যাটার লিন্ডলে সিমন্সও। শুরু থেকেই কেমন যেন হাঁসফাঁস করছিলেন খালেদের সিম মুভমেন্ট ও বাউন্সে। রান নিয়ে নন স্ট্রাইকে যেতেই আরেক ব্যাটার আনামুলকে খালেদ স্বাগত জানালেন পাঁজর নাড়িয়ে দেওয়া বাউন্সারে।
তৃতীয় ওভারে ফিরতেই খালেদকে চার মেরে সেট হওয়ার ইঙ্গিত দিতেই স্বরূপে ফিরলেন আনামুল। ইনসাইড এজে থার্ডম্যান এরিয়ায় নাবিল সামাদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আনামুল। ১০ বলে ৪ রান করেন এই ওপেনার।
আরেক ওপেনার লিন্ডলে সিমন্সও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কামরুল হাসান রাব্বীর বলে ক্যাচ তুলে যখন তিনি ফেরেন তখন দলের রান ৬ ওভার ৪ বলে মাত্র ২৪। এদিন সিমন্স যেন টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি নিতেই নেমেছিলেন। ১৯ বল খেলে করেন মাত্র ৬ টি রান।
দ্রুতই আসে আরেক ধাক্কা; সাজঘরের পঁথে হাটেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা কোলিন ইনগ্রামও। ৩ রান করে নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে দ্বিমত জানিয়ে ইনগ্রাম রিভিউ নিলেও দেখা যায় বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে প্যাডে আঘাত হানে। ইমপ্যাক্ট অন লাইনে থাকা বল নিশ্চিতভাবে তার লেগস্ট্যাম্পে আঘাত করতো। তাই মাঠের অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা সিলেটের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। উইকেটে থেকে সাবধানী ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। মাঝে মাঝে ঝুঁকি খেলেন স্কোরিং শটও। নিয়মিত সিঙ্গেল খেলার পাশাপাশি চেষ্টা করছিলেন প্রতি ওভারেই যেন বাউন্ডারি আদায় করা যায়। সেকুগে প্রসন্নের করা ১২ তম ওভারে মোসাদ্দেক আর মিঠুন মিলে তোলেন ১৮ টি রান। ২ ছক্কা আর এক চারের মধ্যে মোসাদ্দেক সৈকত মারেন ১টি করে চার ও ছক্কা। অপরটি আসে মিঠুনের ব্যাট থেকে।
শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক করেন ৩৪ আর মিথুন আউট হন ব্যক্তিগত ৭২ রানে। খুলনার হয়ে খালেদ আহমেদ দুটি এবং নাবিল সামাদ ও কামরুল ইসলাম একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সিলেট সানরাইজার্স
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজী, মুক্তার আলী, নাদিফ চৌধুরী, জুবায়ের হোসেন লিখন, লেন্ডল সিমন্স, কলিন ইনগ্রাম ও সিরাজ আহমেদ।
খুলনা টাইগার্স
আন্দ্রে ফ্লেচার, সৌম্য সরকার, জাকের আলী অনিক, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), থিসারা পেরেরা, ইয়াসির আলী, সেক্কুগে প্রসন্ন, শেখ মেহেদী হাসান, নাবিল সামাদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও খালেদ আহমেদ।
ডিএস