সিলেটে তরুণ নৃত্যশিল্পী প্রিয়া রানী চন্দ

দৈনিক সিলেট ডট কম
বিনোদন প্রতিবেদক : সিলেটে তরুণ প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী প্রিয়া রানী চন্দ। এই শহরে জন্ম নিয়েছেন কত ক্ষঁণজন্মা কৃর্তিমান ব্যক্তি। অনেক জ্ঞানীগুণী সূফী সাধক।
কর্মী মানুষ সবাই হয় না, কেবল তারাই হয় যারা সমাজ সচেতন। এ ধরনের লোকেরা সমাজের, দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ। সেই গুণে-গুণান্বিত তারুণ্যের অহংকার, সদর নগরীর হাওলাদার পাড়া, কালিবাড়ি সিলেট বাসাস্থ ২৯ ডিসেম্বর ২০০০ইং সালে তার জন্ম হয়।
দেশ থিয়েটার সিলেটের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও ললিত মঞ্জুর নাচের একাডেমির একজন সিনিয়র সদস্য প্রিয়া রানী চন্দ বলেন, তার নৃত্য কলার সুচনা হয় বড় বোন সীমা রানী চন্দ এর হাত ধরে। এর পর প্রতিভা রায় কেয়ার কাছে তার হাতে-কলমে নাচ শেখা শুরু হল। এটি এক অপূর্ব আনন্দ।
পিতা প্রদীপ চন্দ ও মাতা শীলা রানী চন্দের সুযোগ্য কন্যা, তরুণ এই প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী ও একজন উদ্যোক্তা প্রিয়া রানী চন্দ।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার শত ব্যস্ততার মাঝেও আরেকটি কাজ হচ্ছে নবীন-প্রবীন, জ্ঞানী-গুণীকে যথাযত মূল্যায়ন করা। প্রবাদে আছে, যে গুণীজনকে সম্মান করেনা-সে কখন ও সম্মানী হতে পারে না? অনার্স পড়ুয়া প্রিয়া রানী চন্দ মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হলেও সে দেশে, সমাজে এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সুপরিচিত। তিনি সিলেটের যোগ্য, দক্ষ একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে সবার কাছে জানা চেনা। সে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সক্রীয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সব সামাজিক সংগঠনে তার ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। তার এক ভাই ও চার বোনসহ অনেক আত্মীয় স্বজন রয়েছেন।
যে কথা বলতে হয়, আজকের লেখাটি শেষ করতে চাই শুরুর দিকের কথাগুলোর সার-সংক্ষেপ বিশ্লেষণ করার মাধ্যমেই, সেটা হচ্ছে আমরা যদি সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার বিকল্প কিছুই নেই। কেননা শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা নিজেদের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি আশেপাশের অনেককেই সাবলম্বী হতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে এবং সহায়তা করতে পারে। সুতরাং আমাদের সকলের উচিত, আমাদের সম্ভাবনাময় ছেলে-মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্যে সাধ্যমতোন সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান করার চেষ্টা অব্যহত রাখা। তবে এটা সুনিশ্চিতভাবে বলা যায় না, হয়তো আমাদের যখন বার্ধক্য চলে আসবে তখন তাদেরই সহযোগিতা সবার আগে প্রয়োজন হতে পারে।