গোবিন্দগঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১৮, মামলা দায়ের
দৈনিক সিলেট ডট কম
ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ছাতক উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামীলীগ-পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ ঘটিকায় গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপি ও আওয়ামীলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
জানা যায়, ছাতক উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রশাসন ও আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার জেরে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ মিলে বিএনপির সমাবেশে বাধা প্রদান করে। পরে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়, এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উক্ত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ছাতক থানায় ২৬ জন বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার আসামী হলেন, বিএনপি নেতা আহসান মাহবুব, আতহার চৌধুরী, সদরুল আমিন সোহান, যুবদল নেতা আনছার উদ্দিন, কামাল হোসেন, সোহানুর রহমান, এমদাদুল হক স্বপন, মখলিছ খান, ছাত্রদল নেতা মোঃ রুকন উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, অলি মিয়া, সামছুল ইসলাম, ফয়সল উদ্দিন , সিরাজুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, ফরহাদ খান, মিরাজ হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন, সাজু আহমদ, রাজু মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুল মান্নান, দুলাল আহমদ, পাবেল আহমদ, লুৎফুর রহমান, মফিজ আলী, আফতাব আলী, প্রমূখ।
মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান। তিনি বলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন শৃংখলা বাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় স্লোগান দিতে তাকে। সমাবেশে তাদের সরকার বিরোধী বক্তব্য ও স্লোগানে স্হানীয় আওয়ামিলীগের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে তাই আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে গিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের এমন অশালীন আচরণের বাধা দিলে পুলিশের উপর বিএনপির নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে তাকে এবং রাস্তার পাশে দাড়ানো গাড়ি গুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন আইন শৃংখলা বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে ঘটনাস্থল হতে ১৮ জনকে গ্রেফতার করে এবং অন্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দাবী করেন ছাতক উপজেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিনা উসকানি ছাড়াই পুলিশ ও আওয়ামিলীগ ক্যাডার বাহিনী একত্রিত হয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এবং আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এমন স্বৈরাচারী আচরণ খুবই দুঃখ জনক। আমি গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।