সুনামগঞ্জে নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২২, ১২:০২ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে নদনদীতে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কূল উপচে নিম্নাঞ্চলে ঢোকা শুরু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর, নবীনগর, ধারারগাও, জেলরোড, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া ও বড়পাড়া এলাকার সড়ক ও কিছু ঘরবাড়িতে পানি ওঠেছে। শহরতলির সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের ইব্রাহিমপুর, সদরগড়সহ নদীরপাড়ের গ্রামগুলোর নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানিতে ওঠেছে। গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কে পানি ওঠায় ছাতকের সঙ্গে সারাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি এবং সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় সুরমার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে। যাদুকাটাসহ অন্যান্য নদীর পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট পাউবো সূত্রে জানা যায়, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার (১৬ মে) দুপুরে বিপদসীমার ১.২৮ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ১০.৬৬ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮.৭৪ সেন্টিমিটার, শেরপুর পয়েন্টে ৬.৯৬ সেন্টিমিটার, গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপদসীমার ০.৮ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটের লোভা নদীর পানি ১৪.৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাতকের ২ হাজার ৫০০ বাড়িঘরে পানি ওঠেছে। দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চলের কিছু ঘরবাড়িতে পানি ওঠেছে। তবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, ওই তিন উপজেলায় ৫ মেট্রিক টন করে ১৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে।
ডিএস