‘মুহিতের আদর্শ অনুসরণ করলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে’
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুন ২০২২, ১১:১২ পূর্বাহ্ণ
দৈনিকসিলেট ডটকম : ভাষাসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ও অর্থনীতিবিদ, লেখক ও আলোকিত সিলেটের স্বপ্নদ্রষ্টা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে ও বাঙালির নবজাগরণের অন্যতম প্রধান উত্তর পুরুষ ছিলেন মুহিত। তাঁর আদর্শ ও বিশ্বাস অনুসরণ করলে দেশ ও জাতি আর বহুদুর এগিয়ে যাবে। উপকৃত হবে জাতি। তিনি নানা গুণের সমন্বয়ে সত্যিকারের একজন দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। তাঁর সততা ও কর্মনিষ্ঠা দিয়ে তিনি মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন। মুহিত তাঁর কর্মের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন।
শুক্রবার ( ১০ জুন ) বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্মিলিত নাগরিক উদ্যোগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদ্যপ্রয়াত সদস্য আবুল মাল আব্দুল মুহিত স্মরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্মৃতিচারণ করেন মন্ত্রী, এমপি, মুহিত পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সিলেটের প্রতি আনুগত্য ও ভালবাসা থাকলেও তিনি সবসময় সারাদেশের উন্নয়নের কথা ভাবতেন। শিশুর মতো সারল্য তার অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, তিনি একজন স্পিরিটেড ম্যান ছিলেন। তার স্পিরিটের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার স্বপ্ন মানুষের মঙ্গল করা। মুহিত ভাইও মানুষের মঙ্গলের কথাই সবসময় ভাবতেন।
সম্মিলিত নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাংবাদিক আহমেদ নূরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক উদ্যোগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।
প্রয়াত মুহিতের স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত, ছেলে সাহেদ মুহিতসহ পরিবারের অনেক সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তাদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন মুহিতের বোন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন ও শিপা হাফিজ। জনাকীর্ণ হলে প্রথমে প্রয়াতের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। পরে তার প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন রানা কুমার সিনহা।
স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও হবিগঞ্জ-১ আসনের গাজী মো. শাহনওয়াজ মিলাদ।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও বেসরকারি নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, একুশে পদকপ্রাপ্ত ডা. অরূপ রতন চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্মৃতি রক্ষায় উদ্যোগের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তিনি যেকোনো কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, জেলা জাসদ সভাপতি লোকমান আহমদ, সিপিবির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেদানন্দ ভট্টাচার্য, জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থার নেতাদের মধ্যে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন, সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আল আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।